হাতে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময়। তারপরেই ভোটের বাংলায় পয়লা এপ্রিল মহাযুদ্ধ নন্দীগ্রামে। গোটা দেশের নজর যে বিধানসভা আসনে, সময় যত এগোচ্ছে ততই রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পূর্ব মেদিনীপুরের এই জনপথ। এবারনন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন-সহ খুনের চেষ্টার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল।আর ভোটের একদিন আগে এই অভিযোগে তরজায় জড়াল বিজেপি-তৃণমূল।
এদিন আবার, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে রোড শো করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পাল্টা জবাব আবার দিয়েছে তৃণমূল।
এদিকে, নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় আক্রান্ত মহিলার স্বামীর দাবি, ‘সোমবার রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজা খোলা। একটি খাটে হাত-পা বাঁধা, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে স্ত্রী। তিনি বিজেপি করার কারণে তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলা করা হয়েছে।‘
নন্দীগ্রামের সেই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ‘স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে খুনের চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি করি বলে এই হামলা হয়েছে।’ এই ঘটনা ঘিরে ভোটের আবহে সরগরম নন্দীগ্রামের রাজনীতি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ‘তাদের এক কর্মীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে খুনের চেষ্টা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।‘
রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল। দলের সহ-সভাপতির দাবি, ‘এই ধরনের ঘটনার কথা জানা নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। তৃণমূল এধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না।‘
এদিকে, নন্দীগ্রামে সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের প্রচারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভূতার মোড়ে। এইবারে প্রথম নয়, এর আগেও তরুণ জোটপ্রার্থী মীনাক্ষী মুখপাধ্যায়কে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল। স্থানীয় বাম সমর্থকদের দাবি, ‘এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা বিমান বসু। মিছিল ভূতার মোড়ে পৌঁছতেই তাদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি সিপিআইএমের প্রচারে ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।‘ যদিও বামেদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।