অনেক দিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ ঘিরে গুঞ্জন। এমনকী কয়েকদিন আগেও রাজ্য সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ভূমিপুত্রকেই দাঁড় করানোর কথা বলে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাতেই জল্পনা বাড়ে, তবে কি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। সৌরভের রাজনীতিতে যোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা। এবার সেই জল্পনা বাড়িয়ে রবিবার রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সৌরভ। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে ব্যাপক জল্পনা। তাহলে কি মহারাজের রাজনীতি যোগ কি আসন্ন? সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। সৌরভের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে টুইট করে লিখেছেন, "সৌরভের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে পুরনো স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন্সে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আমাকে।"
এদিন বিকেল ৪.৪০ মিনিট নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎকে যদিও নেহাতই সৌজন্য বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর রাজ্যপালের সঙ্গে কী বিষয় নিয়ে কথা হল, তাতে কতটা রাজনীতির প্রসঙ্গ তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি রাজনীতিতে শীঘ্রই যোগ দিচ্ছেন সৌরভ? বঙ্গ রাজনীতিতে এখন নয়া ট্রেন্ড এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ঘিরে গড়ে উঠছে 'দাদার অনুগামী' সংগঠন। কিন্তু বাংলার দাদা বলতে সবমহলই চেনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। আজকের এই রাজভবন যাত্রা ঘিরে জোর গুঞ্জন, এবার কি বঙ্গ রাজনীতিতে আসল দাদাকে দেখা যাবে?
আরও পড়ুন ‘নারদায় কে টাকা নিয়েছে-তোলাবাজ তুমি’, নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের
রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সৌরভকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে কি না, তা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বামঘেঁষা বলে তাঁর পরিচিতি হলেও, গত কয়েক বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সঙ্গেও সৌরভের সুসম্পর্ক রয়েছে। জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যর পর বিনা নির্বাচনে সৌরভকেই সিএবির পরবর্তী সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই থেকে ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সৌরভ। তারপর বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার পথেও বিজেপি তথা অমিত শাহের হাত রয়েছে বলে ক্রীড়ামহলে গুঞ্জন। কিন্তু বিজেপি-তে তাঁর যোগদানের জল্পনা একেবারেই খারিজ করে দেয়নি তাঁর পরিবার। বরং তিনি যা করবেন তাতেই টপ করবেন বলে সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছিলেন স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।