প্রায় তিন বছর ফেরার থাকার পর বুধবার কলকাতায় এসে সবাইকে চমকে দিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ডিগবাজি খেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন একদা পাহাড়ের বেতাজ বাদশা। গুরংকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলও। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর তুঙ্গে। এবার গুরংয়ের এনডিএ দোট ছাড়াকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে এবার গুরুংয়ের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
গুরুংদের এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসা প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, "এনডিএ ছেড়ে যাওয়ায় আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। ওদের হতে পারে। এনডিএ সমুদ্রের মতো।" এরপরই গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন কৈলাস। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তাহলে গোর্খাল্যান্ডের দাবি মেনে নিয়েছে? এরাজ্যে বিরোধী দল করলে অত্যাচার, নিপীড়ন তো হবেই।" একই কথা বলেছেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুও। তিনি বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ছাড়া গুরুং, তাই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সেটিং করে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চাইছে। পুলিশি মামলার ভয়ে এখন মমতার স্তুতি করছেন গুরুং।"
আরও পড়ুন গুরুংয়ের মন্তব্যকে স্বাগত জানাল তৃণমূল, রাজনৈতিক সমঝোতা বলছে বিরোধীরা
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় আবার এককদম এগিয়ে পাহাড়ে অশান্তির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "আগে এসব হলে ১৩ জনের অকালে প্রাণ যেত না।" রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, গুরুং-রোশন গিরিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, ইউএপিএ ধারায় দেশদ্রোহিতার মামলা রয়েছে। পুলিশের খাতায় তিনি এখনও পলাতক। সেই মামলাগুলির কী হবে, সেগুলি কি তুলে নেবে প্রশাসন? তাহলে কি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই বিজেপির সঙ্গত্যাগ করলেন গুরুং? গুরুংয়ের মতো একজন অপরাধী কলকাতায় এলেন, সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন