কোকেন-কাণ্ডে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের গ্রেফতারির ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হয়েছেন রাকেশ নিজেও। রাতে গলসি থেকে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে আসেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় তিনি অভিযোগ করেন, "কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমাকে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। আমি দিল্লি যাচ্ছিলাম, তার আগেই গ্রেফতার করা হল। এভাবে চক্রান্ত করা যাবে না।"
রাকেশ সিংয়ের গ্রেফতারির ঘটনায় বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যাঁরা প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা বলেন, "এটা কি প্রতিহিংসা নয়? রাকেশ সিং ও তাঁর ছেলেদের গ্রেফতার করার কারণ কী? আমি বলছি তদন্ত হোক, সত্যিটা সামনে আসুক।" পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, "যেভাবে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ল তাতে তো দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও আন্তর্জাতিক মানের মাদক পাচারকারীকে ধরতে যাচ্ছে। সবাই বুঝতে পারছে, নির্বাচনের আগে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল।"
প্রসঙ্গত, মাদক-কাণ্ডে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী। ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলার সময় এই রাকেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন পামেলা। তাঁকে গ্রেফতার করা হোক এই দাবি ছিল পামেলার। পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইল টাওয়ারের সুত্র ধরে তাঁর সন্ধান পায় পুলিশ। মঙ্গলবার রাকেশের দিল্লি যাওয়ার কথা থাকলেও, টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় রাজ্যেই আছেন তিনি। যদিও বেলা ১.৩০-এর পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর মোবাইল।
এরপর বিকেলের দিকে একবার মোবাইল অন হলে পুলিশ নিশ্চিত হয় পূর্ব বর্ধমানে আছেন রাকেশ। সজাগ করা হয় জেলা পুলিশকে। এরপরেই গলসি থানা আটক করে রাকেশকে। তাঁকে রাতে হেফাজতে নেয় কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। রাতেই তাঁকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় সঙ্গী রাজেশ সিংকে। আজ তাঁদের আদালতে তোলা হবে।