Dilip Ghosh: করোনা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে তিনি আরও জানিয়েছেন, বেলা ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে বার-রেস্তরাঁ। তা নিয়েই রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, "স্কুল চালু থাকলে সরকারের খরচ হয়। আর বার খোলা থাকলে পার্টির নেতারা মজ-মস্তি করতে পারবে।"
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ ঘোষ। তখনই সাংবাদিকদের তিনি রাজ্য সরকারের কোভিড বিধিনিষেধের মধ্যে একাধিক ছাড় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, "স্কুল খোলা থাকলে রাজ্য সরকারের খরচ হয় অনেক। আর বার খোলা থাকলে সরকারের লাভ। অনেক রেভেনিউ আসে। বার খোলা থাকলে পার্টির নেতারা আনন্দ-ফূর্তি করতে পারেন। তাই স্কুল বন্ধ করে বার খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।"
আরও পড়ুন মুকুলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিধায়ক পদ না ছাড়লেই কড়া পদক্ষেপ
পাশাপাশি, বেসুরো-দলত্যাগীদেরও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। সোমবার সন্ধেয় তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তাঁরা পার্থ বাড়িতে ছিলেন। এরপরই তাঁদের নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। এই নিয়ে দিলীপের তোপ, "ঢেউতে অনেকেই এসেছিলেন নিজের মতো করে। আবার তাঁরা নিজের মতো করে চলে যাচ্ছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। পুরনো নেতারা দলের সঙ্গেই আছেন।"
আরও পড়ুন ‘বাড়তি চর্বি ঝরছে, ভালো লাগছে!’, বিজেপির বেসুরোদের দলত্যাগ নিয়ে খোঁচা দিলীপের
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই প্রতিনিধি দলে অন্তত ২৪ জন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। তারপরই তাঁদের তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়। এই প্রসঙ্গে দিলীপের সাফাই, "কালকে ডাকা হয়েছিল ৩১ জনকে। কিন্তু এসেছিলেন ৫০ জন। কাছাকাছি থাকা বিধায়করা এসেছিলেন। করোনা আবহে ভিড় বাড়িয়ে কী লাভ!"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন