Advertisment

বিরোধিতা ভুলে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাল দিলীপ ঘোষের পরিবার

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে যতই বিজেপি বিরোধিতা করুক, কিন্তু তার সুফল পেতে চান গেরুয়া শিবিরের নেতারাও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ভোট প্রচারে 'খুন-খারাপির উস্কানি'! মিঠুনের বিরুদ্ধে FIR মানিকতলা থানায়

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে যতই বিজেপি বিরোধিতা করুক, কিন্তু তার সুফল পেতে চান গেরুয়া শিবিরের নেতারাও। শুধু তাঁরাই নন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে লাইন দিচ্ছেন তাঁদের পরিজন-আত্মীয়রাও। ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর পরিবারের পর এবার খোদ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরিবার করাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। যিনি কি না এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সমালোচক, তাঁর পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর লাইনে দাঁড়ালেন।

Advertisment

শুনতে অবাক লাগলেও, এই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে রীতিমতো লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়েছেন দিলীপ ঘোষের ছোট ভাই হীরক ঘোষ এবং খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষের পরিবার। কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প নিয়ে যখন জোরকদমে প্রচার করছে বিজেপি, তার মধ্যেই এই ঘটনা অবাক করেছে গোটা বাংলাকে। উল্লেখ্য, হীরক ও সুকেশ ঘোষ রক্তের সম্পর্কেই ভাই নন, রীতিমতো বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। হীরক ঘোষ গোপীবল্লভপুর-১ মণ্ডলের সভাপতি এবং সুকেশবাবু আরও উঁচু পদে রয়েছেন। তিনি আবার জেলা সহ-সভাপতি। তাঁরাই যখন লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাচ্ছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক হইচই।

আরও পড়ুন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে শিবিরে বিজেপি নেতার পরিবার, মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা

তৃণমূল কটাক্ষ করে বলছে, বিজেপি নেতারা মুখে বলেন এক, করেন এক! গোপীবল্লভপুরে-১ বল্কের কুলিয়ানা গ্রামে দিলীপ ঘোষের পৈতৃক বাড়ি। সেই বাড়িতে থাকেন দিলীপ ঘোষের মা পুষ্পলতা ঘোষ, ছোট ভাই হীরক, তাঁর স্ত্রী গঙ্গা ঘোষ এবং ছেলে অরিন্দম। হীরক ঘোষের মেয়ে অর্পিতা হাওড়ার হাসপাতালে নার্সিস্কুলের ছাত্রী। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ, স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ, ছেলে অভি ও দুই মেয়ে অপরূপা-অনুরূপা। রাজ্যের দুয়ার সরকার কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করে দুই পরিবার।

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে হীরক ঘোষের স্ত্রী-ছেলে এবং সুকেশ ঘোষের গোটা পরিবার লাইন দিয়ে ছবি তোলেন। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডও হাতে পেয়েছেন তাঁরা। হীরকবাবুর বক্তব্য, "ছবি তোলার দিন আমি মেয়েকে হাওড়ায় ছাড়তে গিয়েছিলাম। তাই ওই দিন ক্যাম্পে যেতে পারিনি। আমার স্ত্রী ও ছেলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছে। তবে, এই কার্ড এখনও পর্যন্ত কাজে লাগেনি।" সুকেশ ঘোষ আবার বলেছেন, "বাড়ির সবাই কার্ড করতে বলছিল, তাই আবেদন করেছিলাম। পরিবারের সবাই কার্ড পেয়েছে। তবে কী সুবিধা পাব জানি না, লাভ-ক্ষতি কী হবে সেটা পরের কথা।"

আরও পড়ুন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালেই কড়া শাস্তির কোপ, নার্সিংহোমগুলিকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

গত শনিবার ঝাড়গ্রামের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ার সরকার ক্যাম্প হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা, মা, বোন-সহ অন্যান্য পরিজনরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা-সহ বাকি কাজগুলি করান। মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা। যদিও জেলা সভাপতির স্ত্রী-মেয়ে যাননি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে। কয়েকদিন আগে বারাসত পুরসভার মুখ্য প্রশাসক স্থানীয় বিজেপি কর্মী অসুস্থ হওয়ায়, তাঁর বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

Mamata Banerjee dilip ghosh Swasthya Sathi Health Insurance
Advertisment