মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কড়া চিঠি দিয়ে দিল্লি গেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা ধনকড়ের। কিন্তু সূত্রের এখনও সাক্ষাৎ পাননি রাজ্যপাল। এদিকে, তাঁকে রাজ্যপাল পদ থেকে সরানো হতে পারে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। সেই নিয়ে এদিন মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল প্রসঙ্গে বলেন, "সবাই যখন বলে আমার কী বলার দরকার। একটা বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায়। নীরবতাই শ্রেয়।" ধনকড়কে সরানোর জল্পনা নিয়ে মমতার কটাক্ষ, "আসা-যাওয়ার গান ওরাই গায়। ওনাকে রাজ্যপাল করার সময়ও পরামর্শ নেয়নি কেউ। রাজ্যপাল বদলালে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। আমি তো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি, ওনাকে সরানোর জন্য। আগেও বহুবার চিঠি লিখে আবেদন করেছি।"
অমিত শাহের সঙ্গে ধনকড়ের বৈঠকের জল্পনা নিয়ে মমতার তোপ, "উনি কার সঙ্গে দেখা করবেন ওঁর ব্যাপার। উনি তো ওঁদেরই লোক।" প্রসঙ্গত, দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল লেখেন, "ভোট পরবর্তী হিংসা থামাতে কোনও পদক্ষেপ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উনি নীরব।" সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা এদিন বলেন, "আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন, কারও চোখে যদি ন্যাবা হয় আমি কী করব!"
আরও পড়ুন কথা রাখলেন মমতা, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ভাতা ১০ হাজার টাকা করল রাজ্য
তিনি আরও বলেন, "বাংলায় হারার পর লজ্জা নেই বিজেপির। এটাই বিজেপির অভ্যাস। সবটাই গিমিক। নির্বাচনের সময় হিংসা হয়েছিল। আমি হিংসা সমর্থন করি না। প্রশাসন ও পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিই। হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক হিংসাই নেই। এটা বিজেপির গিমিকের হিংসা।"
আরও পড়ুন কবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ফল? নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বেশ কয়েকদিব ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চাই বলে দাবি উঠছে। এতে ইন্ধন দিচ্ছেন বিজেপির নেতারা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবস্থান স্পষ্ট করে আগেই জানিয়েছেন, "এসব দাবি বিজেপির নয়। বাংলাকে ভাগ করার কোনও ইচ্ছা নেই বিজেপির। এই ধরনের দাবির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।" সেই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "বাংলা ভাগ যে করতে আসবে, সে বুঝতে পারবে বাংলার একতা কতটা শক্তিশালী। আরেকটা বঙ্গভঙ্গ আমরা করতে দেব না। যারা করতে আসবে তারা টের পাবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন