Jagdeep Dhankhar: তাঁকে সরানো হতে পারে, এই জল্পনার মধ্যেই মঙ্গলবার দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। তবে আজ, শুক্রবার তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি। সূত্রের খবর, আরও একবার অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন ধনকড়। সেই দ্বিতীয় বার সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা বেড়েছে।
শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার শাহের কাছে নালিশ করতে পারেন ধনকড়। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা নিয়েও কথা হবে কি না তা জানা যায়নি। তবে শাহকে বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলতে পারেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, আজ দুপুরেই কলকাতায় ফেরার বিমান ধরার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু তিনি ফেরেননি।
সূত্রের খবর, শনিবার কলকাতায় ফিরতে পারেন ধনকড়। একদিন থেকে ফের শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। তিনি দিল্লি আসার আগের দিন রাজভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবনতি নিয়ে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন “বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায়”, ধনকড়কে তীব্র আক্রমণ মমতার
দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নীরব থাকার জন্য অভিযোগ করে কড়া চিঠি দিয়ে যান রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গে গতকাল ধনকড়কে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল প্রসঙ্গে বলেন, “সবাই যখন বলে আমার কী বলার দরকার। একটা বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায়। নীরবতাই শ্রেয়।”
ধনকড়কে সরানোর জল্পনা নিয়ে মমতার কটাক্ষ, “আসা-যাওয়ার গান ওরাই গায়। ওনাকে রাজ্যপাল করার সময়ও পরামর্শ নেয়নি কেউ। রাজ্যপাল বদলালে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। আমি তো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি, ওনাকে সরানোর জন্য। আগেও বহুবার চিঠি লিখে আবেদন করেছি।”
আরও পড়ুন ‘রাজ্যে হিংসা ও বিরোধীদের ওপর নির্যাতনে নীরব মুখ্যমন্ত্রী’, মমতাকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের
অমিত শাহের সঙ্গে ধনকড়ের বৈঠকের জল্পনা নিয়ে মমতার তোপ, “উনি কার সঙ্গে দেখা করবেন ওঁর ব্যাপার। উনি তো ওঁদেরই লোক।” প্রসঙ্গত, দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল লেখেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা থামাতে কোনও পদক্ষেপ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উনি নীরব।” সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা এদিন বলেন, “আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন, কারও চোখে যদি ন্যাবা হয় আমি কী করব!”
তিনি আরও বলেন, “বাংলায় হারার পর লজ্জা নেই বিজেপির। এটাই বিজেপির অভ্যাস। সবটাই গিমিক। নির্বাচনের সময় হিংসা হয়েছিল। আমি হিংসা সমর্থন করি না। প্রশাসন ও পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিই। হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক হিংসাই নেই। এটা বিজেপির গিমিকের হিংসা।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন