রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি। এদিন রাজ্যে দুদিনের সফরে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। কাঁকুড়গাছি ও সোনারপুরে আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান নাড্ডা। তিনি এদিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করতে হবে, শুধু নিজের দলের নয়।
এদিন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "দলের কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্যই তাঁদের উপর হামলা করা হচ্ছে। বাংলায় আমরা এখন যা দেখছি, তা অকল্পনীয়। আমি কখনও মানুষের উপর এমন হিংসার ঘটনা দেখিনি। এটা সরকার মদতপুষ্ট হামলা। মমতা এবং তাঁর দলের উচিত এই জয়ে শ্রদ্ধাশীল হওয়া। যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন তাঁদের ভয় দেখাতেই এই হামলা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের সমর্থকদের বিজেপি করার জন্য হুমকি দিচ্ছে।"
কৈলাসের আশঙ্কা, এই আতঙ্কের রাজনীতি দলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে এবং দলকে প্রতিবন্ধী করে দেবে এত সংঘর্ষের পর। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী অশান্তিতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সোনারপুরে বেশ কয়েকটি পরিবারের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে, চলে ব্যাপক লুটপাট। নাড্ডা এমনই বেশ কয়েকটি আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহারা।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাড্ডা বলেন, ”এটাই তৃণমূলের গণতন্ত্র। সারা দেশের মানুষ এই হিংসা দেখছে। তবে বিজেপি এতে ভয় পায় না। এর শেষ দেখে ছাড়বে। বিরোধীদের উপর যেভাবে আক্রমণ চলছে, তা দেখেই বোঝা যায়, গণতন্ত্রকে কী চোখে দেখে তৃণমূল। সমস্ত রাজনৈতিক হত্যার বিচার হবে। গণতান্ত্রিক উপায়েই এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, বুধবার রাজভবনে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এইদিনই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে বিজেপি। সূত্রের খবর, এই ধরনা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন নাড্ডাও।