ভোটের আগে বড় দুঃসংবাদ ব্যক্তিগত জীবনে। মঙ্গলবার সাত সকালে সেই কথা নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন। তাও দমতে রাজি নন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। শোক ভুলে জোরকদমে সকাল থেকেই নেমে পড়েছেন প্রচারের ময়দানে। একদিকে ভাইয়ের মৃত্যু অন্যদিকে প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী। বৃষ্টির ভ্রুকুটির মধ্যেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভবানীপুরে প্রচারে বিজেপি প্রার্থী।
এদিন সকাল থেকে কলকাতা পুরসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন প্রিয়াঙ্কা। রাজনৈতিক মহল বলছে, এই লড়াই ডেভিড বনাম গোলিয়াথের লড়াই। কিন্তু দমতে রাজি নন বিজেপি নেত্রী। এদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে আত্মবিশ্বাসী প্রিয়াঙ্কা। বলছেন, "৭০ শতাংশ ভোট ঠিকঠাক পড়লে আমিই জিতব।" বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ২৮ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোরপাধ্যায়। ভবানীপুরের অন্তর্গত ৮টির মধ্যে ৬টিতেই লিড ছিল তৃণমূলের। ২টিতে লিড ছিল বিজেপির। সেটা ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।
কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ছটি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, ভবানীপুরে বড় ফ্যাক্টর অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক। যা অনেকটাই লোকসভায় পেয়েছিল বিজেপি। তাহলে বিধানসভায় অন্য ফল কেন! বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রার্থী বাছাই অনেকটা ভূমিকা নিয়েছিল। এবার অবাঙালি ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়াঙ্কাকে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসনে ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। তৃণমূল আশাবাদী, এবার সেই ব্যবধান ছাপিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন ভোটের আগেই বড় ধাক্কা, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জীবনে বজ্রপাত
প্রচারে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কার কথায় বার বার উঠে আসছে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা। বাড়তি ডিভিডেন্ট দিতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি। প্রিয়াঙ্কার কথায়, "যে দল ক্ষমতায় এসে অনেক মায়ের কোল খালি করে দেয়, তারা আবার মানুষের কষ্ট কী করে বুঝবে। মা-মাটি-মানুষের কথা মুখে বললে হয় না, মানুষের পাশে থেকে তা দেখাতে হবে।" ভোটারদের কাছ থেকে সাড়া পেয়ে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত প্রিয়াঙ্কা। পাল্টা তৃণমূল নেত্রীর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। মমতার ঘরের মাঠে প্রিয়াঙ্কা খেলা পাল্টে দিতে পারেন কি না সেটাই দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন