জমে উঠেছে ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচার-পর্ব। লক্ষ্মীবারে নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে দেশজয়ের সুর বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পদ্মপুকুরে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, "ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু হয়। মনে রাখবেন বি-তে ভবানীপুর, বি থেকেই ভারতবর্ষ।" এই মন্তব্য দিয়ে যে জাতীয় রাজনীতিতেও নিজের দাপট বোঝাতে চাইলেন মমতা, তা আর বোঝার অপেক্ষা রাখে না।
Advertisment
গতকালের মতো এদিনও মমতা জনতার কাছে আবেদন করেন তাঁকে ভোট দিয়ে জেতানোর জন্য যাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন। তিনি এদিন বলেন, "বিধায়ক না হলে মুখ্যমন্ত্রী থাকা শোভনীয় হবে না। নন্দীগ্রামের মনোনয়নের দিনই জোর করে আহত করা হল। পায়ে চোট, তাও হুইলচেয়ারে প্রচার করেছি। কিন্তু মা-মাটি-মানুষ আমার সঙ্গে ছিল। অনেক অত্যাচার, বিজেপি ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেও আমাদের মানুষ জিতিয়েছেন। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেনি তৃণমূল এত ভোটে জিতবে।"
মমতা বিজেপি বিধায়কদের দলবদল নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন। বলেন, কয়েকটা আসন থেকে অনেকে চলেও এসেছেন। ৮ মাস ধরে কৃষক আন্দোলন চলছে। কেউ কথাই বলছে না। কৃষকদের জন্য আমি অনেক আন্দোলন করেছি।" এদিন ফের নন্দীগ্রামের ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তোলেন মমতা। কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে নন্দীগ্রামকে জুড়ে তিনি বলেন, "এই জন্য়ই আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কারচুপি করেছে। কোর্টে প্রমাণিত হবে।"
উল্লেখ্য, গতকালও নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে বলে প্রচারে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। গতকাল তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে কী হয়েছে শুনলে সবাই ভয় পাবে।’ জানান, ভবানীপুর থেকে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই তাঁর ভবিতব্য। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই জিততে হব। এটাই ভবিতব্য। উপরওয়ালা লিখে রেখেছেন। তাই আপনাদের ছেড়ে আমার কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন