বাড়িতে পাশে বসলেন। সেখানে বসে খাওয়া-দাওয়া সারলেন। বাড়ির সদস্যদের নিয়ে গ্রুপ ছবি তোলা হল। চারিদিক থেকে ক্যামেরার ঝলকানি। কিন্তু তেমন ভাবে কথা হল না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা না হওয়ার আফশোসের শেষ নেই বিভীষণ হাঁসদার। বিভীষণ হাঁসদা বলেন, "সময় আর কোথায়! কথাই হল না তো। চাইবার তো ছিল। এখন আর বলে কী হবে।"
এর আগেও আদিবাসী বা দলিতের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেছেন অমিত শাহ। যাঁদের বাড়িতে গিয়েছেন পরে তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে টানাটানিও চলেছে। এদিন বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মেঝেতে মাদুরে বসে দুপুরের আহার সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিভীষণ বলেন, "মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলু-পোস্ত সবজি, শুক্তো, শাক ভাজা, আলু ভাজা, পটল ভাজা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে বসে খেয়ে খুব ভাল লাগল। কোনওদিন ভাবিনি যে আমার বাড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে বসে খেতে পারব।"
বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করার পর খুশি অমিত শাহ।
আরও পড়ুন ‘মমতা সরকারের মৃত্য়ুঘণ্টা বেজে গিয়েছে, দুই তৃতীয়াংশ আসনে ক্ষমতায় বিজেপি’, হুঙ্কার শাহের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে বসে একসঙ্গে ভোজন সারলেও মস্ত আফশোস রয়ে গিয়েছে বিভীষণের। বিভীষণ বলেন, "সময় আর কোথায়! কথাই হল না তো। চাইবার তো ছিল।" কী চাইতেন? "ওনার সঙ্গে কথাই যখন হল না এখন আর বলে কী হবে।" বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করার পর খুশি অমিত শাহ। আয়োজনে ছিল খেঁজুর পাতার মাদুরে বসার ব্যবস্থা। কাঁসার থালার উপর কলাপাতায় খাবার। কাঁসার গ্লাসে জল। সম্পূর্ণ বাঙালি খাবার। অমিত শাহ টুইট করে লিখেছেন, "চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে চমৎকার বাঙালি খাবার খাওয়ার সুযোগ পেলাম। কোনও শব্দেই তাঁদের আতিথেয়তার বর্ণনা করতে পারব না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন