একেই বলে পারফেক্ট বার্থডে গিফট! জন্মদিনেই বিরাট উপহার পেলেন বিধান উপাধ্যায়। বারাবনির বিধায়ককে আসানসোলের পরবর্তী মেয়র বেছে নিল তৃণমূল কংগ্রসে। বলা ভাল, জন্মদিনেই দিদির উপহার পেলেন বিধান। তা-ও আবার পুরভোটে না লড়েই। এদিন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম বিধানের নাম ঘোষণা করতেই বারাবনিতে উৎসবে মেতে ওঠেন বিধান-অনুগামীরা।
মুখে বললেন, 'সবই দিদি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত'। কিন্তু খুশি তাঁর মনে ধরছে না। সেটাই স্বাভাবিক। আসানসোল তথা পশ্চিম বর্ধমানের রাজনীতিতে ধীরে ধীরে জায়গা তৈরি করেছেন তিনি, বলছেন অনুগামীরা। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি এবার আসানসোলের মেয়র পদে বসবেন। তাতে বিরাট খুশি বিধান উপাধ্যায়ের অনুগামীরা। তিনি নিজে পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। এবার মেয়রের কুর্সিতে বসার পর ছমাসের মধ্যে কোনও একটি ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হবে বিধানকে। তার মানে, কোনও এক জয়ী কাউন্সিলরকে তাঁর আসন বলিদান দিতে হবে।
আরও পড়ুন কালীঘাটে গিয়েও ‘দিদি’র মন পেলেন না সব্যসাচী, কৃষ্ণাকেই মেয়র করলেন মমতা
কথায় আছে,কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ। আজ যদি পৌষমাস হয় বিধানের তাহলে, সর্বনাশ না হলেও নিরাশা হল অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। আসানসোলের মেয়র হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে চর্চিত নাম অমরনাথেরই। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্তফা দেওয়ার পর অমরনাথের কাঁধেই আসানসোলের দায়িত্ব দেয় দল। আট বারের কাউন্সিলর অমরনাথের অভিজ্ঞতা অনেক। তাই মেয়র হিসাবে যোগ্য ছিলেন বলেই ধরেছিলেন অনেকে। কিন্তু তাঁকে শেষপর্যন্ত চেয়ারম্যান করা হচ্ছে পুরনিগমের। তাতে কিছুটা হতাশ হয়েছেন তিনি। তবে দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে।
আরও পড়ুন তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ম্যান’ অভিষেকই, সংগঠনে আর কোন পদে কে?
আ
এদিকে, আরও একজন ছিলেন মেয়র হওয়ার দৌড়ে। সেটা হলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। একাধিকবার কাউন্সিলর হয়েছেন, মেয়র পারিষদ হিসাবেও কাজ করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, মন্ত্রীর ভাই বলে কথা। কিন্তু তাঁর ভাগ্যে মেয়রের শিকে ছেঁড়েনি। বরং তাঁকে দুই ডেপুটি মেয়রের একজন করা হয়েছে। তাঁকে ডেপুটি মেয়র করায় বেশ হতাশ হয়েছেন তাঁর অনুগামীরা।