বীরভূমের লাভপুরে বিজেপি প্রার্থীকে ‘স্বাগত’ জানাতে ঝাঁটা-জুতো দিয়ে সাজানো হল এলাকা। এমন অভিনব প্রতিবাদের মুখে পড়লেন গেরুয়া প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল। এর আগে বিজেপির রোড শো চলাকালীন নিজের খাসতালুক বেহালা পূর্বে ঝাঁটা-জুতো, কালো পতাকা দেখেছিলেন শোভন-বৈশাখী। নন্দীগ্রামেও প্রচারে বেরিয়ে ঝাঁটা হাতে মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু প্রার্থীকে ‘স্বাগত’ জানাতে ঝাঁটা-জুতোর মালায় এলাকা সাজানো। এবারের ভোট প্রচারে অন্যতম অভিনব প্রতিবাদ। এমনটাই বলছে বিজেপি-বিরোধী দলগুলো। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল লাভপুরের সোমডাঙা এলাকায়। সেই বিজেপি প্রার্থীকেও দেখা গিয়েছে বাধ্য হয়ে মাথার ওপর জুতো-ঝাঁটা ঝুলিয়ে প্রচার করতে। সম্প্রতি কামারহাটি বিধানসভা এলাকায় ভোট প্রচারে বেরিয়ে গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি নিয়ে এলাকাবাসীর রোষের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বৃহস্পতিবার প্রচারে গিয়েছিলেন সেই গ্রামে। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী তাঁর অনুগামীদের নিয়ে গ্রামে ঢোকার আগেই দেখেন গ্রামে ঢোকার মুখেই ঝাঁটা-জুতো দড়ি দিয়ে টাঙানো রয়েছে। এরপরই বিজেপির প্রচার মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘আমি মানুষের ঘরে-ঘরে গিয়ে প্রচার করছি। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু হেরে যাওয়ার ভয়ে দুষ্কৃতীদের দিয়ে তৃণমূল রাস্তায় জুতো-ঝাঁটার মালা টাঙিয়ে রখেছে। আমি এই জুতো মাথা পেতে নিলাম। কিন্তু আমি জানি, এর বিচার মানুষই করবে। ২ মে'র পর এই জুতো তৃণমূলের মাথায় পড়বে।’
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লাভপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সদস্য অভিজিৎ সিংহ। তাঁর কথায়, ‘ওই এলাকায় বিজেপির পায়ের তলায় জমি নেই। ভোটে ব্যাপকভাবে হারবে ওরা। সেটা বুঝেই নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য নিজেরাই এমন কাজ করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন যোগ নেই।'
এবারই অবশ্য প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেই আরও একবার লাভপুরের বিজেপি প্রার্থীকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী গ্রামে ঢোকার আগেই রাস্তা আটকেই শুরু করা হয় ‘খেলা হবে’ গান, সঙ্গে চলতে থাকে ডিজে বাজিয়ে নাচ। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য সেবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়।