বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি।রাজ্যের ৪ জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট গ্রহণ শুরু আগে থেকেই হিংসা ও অশান্তির খবর সামনে এসেছে। এরই মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন কোনারের গাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ। আক্রান্ত একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। যদিও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের।
জানা গিয়েছে, একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বুথ জ্যাম করা হচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে কেশপুরের গুণহারা গ্রামে যান ওই বিজেপি প্রার্থী। গ্রামে ঢোকা মাত্রই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে ধারাল অস্ত্র, বাঁশ, ইট, লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। গাড়িতে এলোপাথাড়ি ছোঁড়া হয় পাথর, ইট। এক মহিলাকে সন্তান কোলে হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে।
পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। গাড়িতে বেধড়ক লাঠি, বাঁশ দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে মরিয়া হয়ে পালাতে গিয়ে রাস্তার ধারের একটি মাটির বাড়িতে প্রার্থীর গাড়ি ঢুকে যায়। প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে পালান।পরে পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ গ্রামে ঢুকে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে।
ঘটনার পর প্রাথমিক ভাবে বিজেপি প্রার্থীর খোঁজ না মিললেও, পরে তাঁকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। হামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার ভোট শুরুর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভোট শুরুর আগে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী।
পার্টি অফিস থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম উত্তম দলুই। মৃতের পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে বাড়ির অদূরে পার্টি অফিসেই ছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, ৩০-৩৫ জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এনিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। খুনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।