মধ্যাহ্নভোজন কর্মসূচির পর শস্যভিক্ষা! বাড়ির দুয়ারে ঝোলা কাঁধে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে ভিক্ষা চাইতে দেখলে অবাক হবেন না। কারণ, ভোটের মুখে ফের রাজ্য সফরে এসে বর্ধমানের এক গ্রামে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা চাইবেন জে পি নাড্ডা। চাল-ডালের সঙ্গে কৃষকদের বাড়ি থেকে সবজিও ভিক্ষা হিসাবে গ্রহণ করবেন নাড্ডা। বিজেপির জনসংযোগের নয়া কৌশল মুষ্টিভিক্ষা। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে।
দলের রাজ্য সভাপতি যেখানে মাঝেমধ্যেই মারধর, বদলার রাজনীতির কথা বলেন সেখানে উল্টো পথে হাঁটছেন সর্বভারতীয় সভাপতি। শনিবার রাজ্য সফরে আসবেন নাড্ডা। রাজ্যে এসে তিনি একটি সমাবেশ করবেন পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাটে। সেখানেই নিজে ভিক্ষা চেয়ে রাজ্যে শুরু করবেন এক নতুন কর্মসূচি। ‘বাড়ি বাড়ি মুষ্টি’ নামে ওই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই ভিক্ষাগ্রহণ করবেন তিনি। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, তাতে দাঁইহাটে জগদানন্দপুর গ্রামের পাঁচ কৃষক পরিবারে যাবেন নাড্ডা। সেখান থেকে ভিক্ষাগ্রহণের পরে এক কৃষকের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজন করবেন।
আরও পড়ুন দুই প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর লড়াইয়ে জমে উঠেছে রাজনীতির যুদ্ধক্ষেত্র
বঙ্গের ধানের গোলা বলা হত অবিভক্ত বর্ধমান জেলাকে। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান কৃষিপ্রধান জেলা। আর সেখান থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে বিজেপি। নয়া কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে জেরবার গেরুয়া শিবির। কেন্দ্র-কৃষক দুপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। সেই জায়গায় ভোটের মুখে রাজ্যের কৃষকদের কাছে টানতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে গেরুয়া শিবির। নাড্ডা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এক মুষ্ঠি করে যে চাল-ডাল-সবজি ইত্যাদি সংগ্রহ করবেন, তা জমিয়ে রাখা হবে। দলের অন্যান্য নেতা-কর্মী পরে ওই কাজ চালিয়ে যাবেন। এর পরে গ্রামে গ্রামে ‘সহভোজ’ হবে।
কী এই সহভোজ? বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা চাল-ডাল-সবজি দিয়ে রান্না করে দলের উদ্যোগে হবে পিকনিক। গ্রামের সকলে একদিন একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। সেটা কোথায় কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু শনিবার নাড্ডার সফর থেকেই ‘মুষ্টিভিক্ষা’ শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে কাটোয়ার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আগামিদিনে রাজ্যের অন্যান্য কৃষিপ্রধান অঞ্চলেও এই কর্মসূচি শুরু করতে চায় বিজেপি।