New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/Mamata-Banerjee-F.jpg)
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায় ১৮ জন তৃণমূল বিধায়ক, একজন সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেন
যতদিন যাচ্ছে তৃণমূলত্যাগী বিধায়ক-নেতার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার শাসক দলের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বড়সড় ভাঙন দেখেছে তৃণমূল। বারুইপুরের যোগদান মেলায় ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার-সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব গেরুয়া পতাকা হাতে তুলেছেন। এই আবহে দলত্যাগী নেতাদের 'দুর্নীতিপরায়ণ' বলে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'বিজেপি টাকা দিয়ে দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের কিনতে পারবে। কিন্তু সৎ কর্মীদের কিনতে পারবে না।' আরও আক্রমণাত্মক হয়ে তাঁর বার্তা, "দলে দুর্নীতিপরায়ণদের স্থান নেই। যাঁরা যেতে চান এখনই যেতে পারেন।"
গত সপ্তাহেই শুভেন্দু পথে হেঁটে বিজেপির পতাকা হাতে তুলেছেন তৃণমূলের আরও এক হেভিওয়েট প্রাক্তনী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিশেষ বিমানে দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপির উত্তরীয় পরেন কখন প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী এবং রুদ্রনীল ঘোষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরা তাঁরাই যারা প্রবল পরিবর্তনের আবহে ক্ষমতার অলিন্দে ঘুরতেন।' তাই এভাবে মেগা বিজেপি যোগে তৃণমূলের নীচুস্তরের কর্মীদের মধ্যে একটা আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেই আশঙ্কা দূর করতে মঙ্গলবার ফালাকাটায় সরব হয়েছিলেন মমতা।
বিজেপিকে গ্যাস বেলুন তোপ দেগে তিনি দাবি করেছিলেন, 'আপনাদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। মা-মাটি-মানুষের সরকার ফের ক্ষমতায় ফিরবে। বিজেপি গ্যাস বেলুন শুধুমাত্র প্রচার মাধ্যমে জীবিত। প্রচুর টাকা আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়।' গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায় ১৮ জন তৃণমূল বিধায়ক, একজন সাংসদ আর তিন জন বিধায়ক দুই কংগ্রেস এবং একজন সিপিএম বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন।