বিধানসভায় বঙ্গে পদ্ম না ফুটলেও প্রৌঢ়ত্বের শেষে বিয়ের ফুল ফুটল অরবিন্দ মেননের। বঙ্গ বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক ব্রহ্মচর্য ছেড়ে গার্হস্থ্য জীবনে প্রবেশ করলেন। শুক্রবার কেরলের গুরুবায়ুর মন্দিরে ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন ৫৮ বছরের বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। কার্যত চুপিসারেই বিয়ে সারলেন মেনন। রাজনৈতিক জীবনেও যেমন বেশি প্রচারে থাকতে ভালবাসেন না, ব্যক্তিগত জীবনও আড়ালেই রাখতে পছন্দ তাঁর।
বিজেপির কোনও কেন্দ্রীয় নেতাকে দেখা যায়নি তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে। এদিন ফেসবুক পেজ ও টুইটার হ্যান্ডেলে বিয়ের ছবি দিয়েছেন মেনন। সকলের আশীর্বাদ চেয়েছেন বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, "পিতার আশীর্বাদে কেরলের গুরুবায়ুর মন্দিরে ভগবান গুরুবায়ুর আপ্পানকে সাক্ষী রেখে আজ গৃহস্থ জীবনে প্রবেশ করলাম। এই মুহূর্তের জন্য সমস্ত মহানুভবের স্নেহ এবং আশীর্বাদ কামনা করি।"
রাজ্য বিজেপির কোনও নেতাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন কি না তা জানা যায়নি। তবে মেননকে অনেকেই ভীষণ পছন্দ করেন রাজ্য নেতৃত্বের। অনাড়ম্বর জীবন, শিক্ষিত-মার্জিত ব্যক্তিত্ব তাঁর। মাতৃভাষা মালয়ালি ছাড়াও ভোজপুরী, ইংরাজি এমনকী বাংলাতেও সাবলীল তিনি। আরএসএস থেকে রাজনীতিতে এসে খুব সময়ের মধ্যেই দক্ষ রাজনীতিবিদ হয়ে যায় অরবিন্দ মেনন। বাংলার আগে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন ত্রিপুরা বিজেপিতে বিদ্রোহের সুর, সুযোগ বুঝে ময়দানে তৃণমূল
কলকাতাতেও ঠিকান রয়েছে মেননের। দলের একাংশের আশা, কলকাতায় ফিরে ভোজের ব্যবস্থা করতে পারেন মেননজি। বেশি জাঁকজমক করে নাহলেও ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের মতো এখানে রিসেপশন করতে পারেন মেনন। তবে সেটাও দূরের চিন্তা। আপাতত রাজনীতি থেকে কিছুদিনের জন্য দূরে থেকে গার্হস্থ্য জীবন উপভোগ করবেন অরবিন্দ মেনন। বঙ্গে পদ্মফুল না ফোটালেও, বিয়ের ফুল ফোটাতে সফল হয়েছেন মোদী-শাহের বিশ্বস্ত সৈনিক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন