Samik Bhattacharya BJP: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন ভোটের মুখে। ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হতেই কেউ বেসুরো, কেউ তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। যার জেরে প্রবল অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে। এই প্রসঙ্গ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সাফ জানিয়ে দিলেন, "বিজেপি কাউকে জোর করে আনেনি। যাঁরা যেতে চান তাঁদের জন্য শুভেচ্ছা রইল।"
এদিনই দলের প্রতি অভিমান ঝরে পড়েছে প্রবীর ঘোষালের। কেউ খোঁজ নেননি মাতৃবিয়োগের পর, কিন্তু শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সেকথা স্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা। কয়েক দিন ধরে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুও বেসুরো। মায়ের অসুস্থতা নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন বলে অভিষেক-মমতার স্তুতি শোনা গিয়েছে প্রাক্তন বিধায়কের গলায়। তৃণমূলের ফিরতে চেয়ে সোনালি গুহ-দীপেন্দু বিশ্বাসরাও চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই অবস্থায় দলবদলুদের ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির কাছে।
আরও পড়ুন Prabir Ghoshal: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে এবার ‘বেসুরো’ প্রবীর ঘোষাল
এই অবস্থায় শমীকের মন্তব্য, "প্রত্যেকেই ভেবেছিল আমরা ক্ষমতায় আসব। যাঁরা ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে ভালবাসেন, তাঁরাই এখন ক্ষমতায় না আসতে পেরে অন্য দলে ঝুকছেন। যাঁরা কাঁদতে কাঁদতে এসেছিলেন বিজেপিতে, তাঁরাই এখন হাসতে হাসতে চিঠি লিখছেন।" মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে শমীকের বক্তব্য, "ও মায়ের একমাত্র সন্তান। কৃষ্ণাদেবী এখন যে পরিস্থিতিতে রয়েছেন এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। মুকুল দা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ওঁর নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উচ্চতা রয়েছে, অনেকের সঙ্গে পরিচিতি রয়েছে। এসব নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করে না।"
আরও পড়ুন ‘সেই আমাকে আর পাবেন না’, নেত্রীর কড়া ধমকের পর বললেন মদন
উল্লেখ্য, এদিনই শুভ্রাংশু-মুকুলের দলত্যাগের জল্পনা নিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর কটাক্ষ, "হাতির পিঠ থেকে দু-একটা পিঁপড়ে পড়ে গেলে বা নেমে গেলে হাতির কিছু যায় আসে না। বিজেপির কোনও সমস্যা নেই। যাঁদের যাওয়ার তাঁরা যেতে পারেন। বিজেপি এসব নিয়ে চিন্তিত নয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন