রবিবার হলদিয়ায় নাম না করে ফের মমতা-অভিষেককে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "যেমন ঝাঁড়, তেমন বাঁশ। এর আগে একজন মেদিনীপুরে এসে প্রধানমন্ত্রীকে তুই তোকারি করে গেছে। আর কাল সেই ঝাড়ের বাঁশ এসে কী কথা বলেছে আপনারা শুনেছেন।" স্পষ্টত তাঁর আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। এটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি বিশ্লেষকদের।
কারণ গতকাল তমলুকের সভায় নাম না করেই শুভেন্দুকে তোপ দেগেছিলেন অভিষেক। বলেছিলেন, "যা তোর বাপকে গিয়ে বল। বাড়ি থেকে পাঁচ কিমি দূরে আছি। কী করবি করে নে।" যদিও এই আক্রমণ আর তার পাল্টে সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, "এভাবে ভোট যত এগিয়ে আসবে তত বাড়বে আক্রমণ আর কুকথার স্রোত।" এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে আরও নানা ভাবে তাঁর প্রাক্তন দল-সহ নেত্রীকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, "আমি মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বসুর মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। ওদের রাজনৈতিক ভাবে জবাব দেবই।"
তিনি আরও বলেছেন, 'হলদিয়ার অনেক ভবিষ্যত আছে। কিন্তু মাননীয়া কাজ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জমি নীতি, শিল্প নীতির জন্য গত দশ বছরে একটা শিল্প রাজ্যে হয়নি।' সুর চড়িয়ে তাঁর মন্তব্য, "আমাদের অনেক যন্ত্রণা রয়েছে। কাটমানি, সিন্ডিকেট রাজের সঙ্গে বেকারত্ব একটা যন্ত্রণা। উনি নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন বলে হলদি নদীর ওপর সেতুর কথা বলেছেন। কিন্তু ওটা আন্তর্জাতিক জলপথ। কেন্দ্র সরকার, প্রধানমন্ত্রী না চাইলে একটাও ইট গাঁথতে পারবেন না।" এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, "রাজ্য বাজেট নিয়ে লোকে হাসাহাসি করছে। আমেরিকার বাজেটের চেয়েও বেশী বরাদ্দ।"