নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসে পালন ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বুধবার মধ্যরাতে সূর্যোদয়ের আগেই সংঘাত এড়াতে শহিদ দিবস পালন করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, রাতের অন্ধকারে শহিদ দিবস পালন করায় শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরক্ষা কমিটি। তারা আবার বৃহস্পতিবার কাকভোরে প্রতি বছরের মতো প্রথা মেনে শহিদ দিবস পালন করে। পরে সকালে সেখানে সভা হয়, যার মূল বক্তা ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
এদিন ভোর সাড়ে চারটেয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করে। সেই মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তিনি অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় শুভেন্দুকে সেখানে বিশেষ দেখা যায়নি। আবার নন্দীগ্রামে গতকাল রাতেই শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু। তিনি সেখানে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, "নন্দীগ্রামে তিনবছর কেউ আসেননি। পরেও কেউ আসবেন না। ভোটের বছর বলে এখন অনেকের আনাগোনা বেড়েছে।"
আরও পড়ুন ‘যুবা’ নিয়ে ১০ বছর পর ক্ষোভের আগুন শুভেন্দুর গলায়
এরপর ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু। এদিন নেতাই গণহত্যারও বর্ষপূর্তি। নেতাইয়ে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিজেপি নেতা। শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের হাতে ৫ হাজার টাকা করে তুলে দেন শুভেন্দু। এরপর তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "আমি কোনওদিন নেতাইয়ে রাজনৈতিক পতাকা, ব্যানার নিয়ে আসিনি। যাঁরা এতদিন আসেননি, তাঁদের ব্যানার এখন নেতাইয়ে দেখা যাচ্ছে।" এদিন বেলার দিকে নেতাইয়ে শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠানের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, সৌমেন মহাপাত্ররা আসেন। নাম না করে তাঁদেরকেই কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তৃণমূল নেতাদের বহিরাগত বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন