সাংসদ পদ না কি বিধায়ক হিসাবে বিরোধী শিবিরে? নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার কী করবেন তা নিয়ে ধন্দ ছিল। তাঁরা কি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না কি বিধায়ক পদ থেকে তা নিয়ে কয়েকদিন ধরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিধায়ক পদে তাঁরা শপথ গ্রহণ না করায় জল্পনা আরও বাড়ে। অবশেষে হাইকমান্ডের নির্দেশে বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন তাঁরা। সাংসদই থাকবেন জগন্নাথ ও নিশীথ। ছেড়়ে দেবেন শান্তিপুর ও দিনহাটার বিধায়ক পদ।
সূত্রের খবর, এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যে যেভাবে সবুজ কালবৈশাখী বয়ে গিয়েছে, তাতেই এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলে ফল আদৌ অনুকূলে থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরছে দলের অন্দরেই। দিনহাটায় প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে মাত্র ৫৯ ভোটে হারিয়ে জিতেছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এই পরিসংখ্যানই বিজেপির রক্তচাপ বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে, শান্তিপুরে ভাল ব্যবধানে জিতলেও সেই ফল উপনির্বাচনেও হবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবার বিধানসভা নির্বাচনে ৪ জন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাসের কাছে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরেছেন বাবুল। অন্যদিকে, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুড়া কেন্দ্রে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে ১৮ হাজার ভোটে হারেন। সবেধন নীলমণি নিশীথ ও জগন্নাথ। সাংসদদের বিধানসভায় প্রার্থী করার কৌশল ব্যুমেরাং হয়েছে বিজেপির।
তবে জিতলেও সাংসদ পদ ছাড়ার ব্যাপারে নারাজ ছিলেন নিশীথ ও জগন্নাথ। তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, দল ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভায় এঁদের দুজন নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক হয়ে বিধানসভায় বিরোধী শিবিরে বসা এক প্রকার পদস্খলন। বিজেপি সূত্রে খবর, এখনই বিধানসভায় এসে শপথ নেবেন না নিশীথ এবং জগন্নাথ। নিয়ম অনুযায়ী, শপথ নিয়ে নিলে পরবর্তী দু’সপ্তাহের মধ্যে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে খুব বেশি দিন সময় হাতে নেই তাঁদের। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও একটি পদ ছাড়তেই হবে।