ভোটের মুখে একদিকে যখন ভেঙেই চলেছে শাসকদল তৃণমূল, অন্যদিকে স্বস্তিতে নেই বিজেপিও। ক্ষমতায় না এসেই প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ গেরুয়া শিবির। রবিবারও রাজ্য বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই কর্মীরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিনের সক্রিয় নেতাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁকে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। হেস্টিংসের কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করার আশ্বাস দিলে নিস্তার পান।
ঠিক কী হয়েছে এদিন? দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ একাধিক বিজেপি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব সামলেছেন শুভঙ্কর দত্ত মজুমদার। বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটের মুখে হঠাৎ তাঁকে সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করা হয়।তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, শুভঙ্করের মতো নেতারা দলের জন্য উপযুক্ত। তাঁর নেতৃত্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংগঠন অনেক মজবুত হয়ে উঠেছে। ভোটের মুখে তাঁর পদ থেকে অপসারণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁদের আক্রোশের কেন্দ্রবিন্দু, জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতারা।
এদিন ওই নেতার ছবি দেওয়া হোর্ডিং নিয়ে বিজেপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান শয়ে শয়ে দলীয় কর্মী। বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশও। বিক্ষোভের মুখে পড়েন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি পরে জানান, শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন। তারপর তাঁকে যেতে দেন কর্মীরা। প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রতিদিনই কোনও কোনও জেলা-মণ্ডল থেকে কর্মীরা এসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্বের জেরে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে গেরুয়া শিবিরে। ভোটের মুখে এই নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন দিলীপ-মুকুলরা।