উলুবেড়িয়া থানার মৌবেশিয়া পশ্চিমপাড়ায় বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। বোমা বিস্ফোরণে আহত ২, পলাতক বাড়ির মালিক। ঘটনাস্থলে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ও র্যাফ (RAF)। বাড়িতে বোমা মজুত ছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হামলার জন্য বোমা মজুত করছিল সিপিএম-বিজেপি। অভিযোগ তৃণমূলের, অস্বীকার সিপিএম-এর।
এদিকে, আর দিন তিনেক পর রাজ্যে প্রথম দফার ৩০টি আসনে ভোট। তার আগে উত্তরবঙ্গ সফরে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশন সুনীল অরোরার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের দল উত্তরবঙ্গের ভোট প্রস্তুতি দেখতে রাজ্য সফরে। ২৮ মার্চ দিল্লি ফিরবে বেঞ্চ। তার আগে আইনশৃঙ্খলাকেই পাখির চোখ করে এসপি-ডিএম-দের নির্দেশ দিল কমিশন।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা-সহ আগ্নেয়াস্ত্র। পূর্ব বর্ধমানে বিস্ফোরণে নিহত এক নাবালক, গুরুতর জখম এক। আর এই বিষয়গুলো কড়া হাতে দমন করতে চায় কমিশন। তাই বাংলায় এসেই জেলা ধরে-ধরে আলোচনা করলেন তাঁরা।
সেই সূত্রেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কড়া বার্তা দিল কমিশন। সেই নির্দেশ মোতাবেক ৫০% বুথে, বিশেষত সকল স্পর্শকাতর বুথে ওয়েব কাস্টিং করতে হবে বলে নির্দেশ। একইসঙ্গে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে কমিশনের বার্তা, ‘গণ্ডগোলের কোনও ফুটেজ না পাওয়া গেলে, তার দায় বর্তাবে এসপি এবং ডিম’দেরই।‘ তাই এবিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
তবে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে কী করণীয়, সে বিষয়ে সব জেলার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ফুল বেঞ্চ। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)-কে কাজে আরও মনোযোগী হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমানে বোমার আঘাতে এক নাবালকের মৃত্যু ও একজনের গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনার জেরে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এত বোম কী করে উদ্ধার হচ্ছে? সেই প্রশ্নও তোলা হয় কমিশনের বৈঠকে। ভোট গ্রহণের আগে বা ভোট গ্রহণ চলাকালীন যদি এই ধরনের বিস্ফোরণ হয়, তাহলে ভোটদানের হার কমে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
কমিশন সূত্রে খবর, আহত শিশুটির শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তা এদিন খোদ জানতে চান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বর্ধমানের রসিকপুরে বোমায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। তবে, কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার সোমেন মিত্রর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন।
সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার, পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ও বীরভূমের পুলিশ সুপারকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। মূলত, শাসকদলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে এই তিনজনের বিরুদ্ধে। এমনকী সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অপসারিতও হতে পারেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দা। বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন, লাভপুরের ব্যাপক বোমাবাজি, শাসকদলের নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।