বীরভূমের নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠাল সিবিআই। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে ২৭ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার নিজাম প্যালেস তৃণমূলের এই নেতাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা। দিন কয়েক আগেই আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। তখন থেকেই সুর চড়া তৃণমূল নেত্রীর। ‘কেষ্ট’কে নজরবন্দি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এমন অভিযোগই তুলেছেন দলের সুপ্রিমো। এমনকি, অষ্টম তথা শেষ দফার ভোটপর্ব না মিটলে কোথাও হাজিরা দেওয়ার দরকার নেই। অনুব্রতকে এই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন সিবিআই-এর এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন৷ তিনি বলেন, 'এত ভিতু এরা যে কেষ্টর বাড়িতে গেছে৷ ওকে প্রতিবার ইলেকশনে নজরবন্দি করে দেয়৷ আর কালকে সিবিআই রেইড করেছে৷ দু' জন সিবিআই অফিসার চলে গেছে৷ বলছে ২৭ তারিখে সিবিআই অফিসে আসুন৷ কেন যাবে সিবিআই অফিসে? ২৯ তারিখে ভোট, আর ২৭ তারিখ ডেকে পাঠাচ্ছে৷ কেন যাবে? সে একটা পার্টির প্রেসিডেন্ট, ভোটের কোনও কাজকর্ম করবে না? ভোট চলছে, একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে৷ আমি বলে দিয়েছি একদম যাবি না৷ বলবি ভোটের পর যাবো৷ সবরকম ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷'
করোনা অতিমারির মধ্যে কেন সিবিআই অফিসাররা কারও বাড়িতে এ ভাবে ঢুকে পড়বেন, তা নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর প্রশ্ন, 'এখন করোনার মধ্যে এ ভাবে কারও বাড়িতে ঢুকে পড়া যায়? বাড়িতে ঢোকার আগে তো করোনা টেস্ট করা উচিত৷'
এদিকে, সিবিআইয়ের নোটিশ পাওয়ার পরেই অনুব্রত মণ্ডলের তরফে পাল্টা ই-মেল করে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ তারিখ বীরভূমে ভোট থাকায় তিনি ব্যস্ত রয়েছেন৷ তাই ভোটের পরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই-এর কাছে সময় চেয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি৷