রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের শাসক দল দ্বারা প্রভাবিত। বিজেপি সহ সব বিরোধী দলই এই অভইযোগ করে থাকে। পুরভোটের আবহে সেই অভিযোগই চড়া হল। কেন তাঁর বা দলের এই অভিযোগ তার কারণ দাবি করে বৃহস্পতিবার টুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় ভোট ঘোষণা হয়েছে। এ দিন থেকেই লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। এর মধ্যেই আবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন মুখ্যসচিব সহ সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা। প্রশাসনিক কাজে তৎপরতা নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার পর কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন, তা নিয়েই টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচেনী আধিকারিককে তৃণণূলের দ্বারা প্রভাবিত বলেও সোচ্চার হয়েছেন।
টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আদর্শ আচরণবিধি জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন? এটাই প্রমাণ করে যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারীক তৃণমূল দ্বারা প্রভাবিত।'
উল্লেখ্য, এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চান পুলিশ সুপারকে রাজ্যপাল ফোন করেন কিনা? তিনি ভয় পাচ্ছেন কিনা? তাঁর উপর রাজনৈতিক কোনও চাপ আছে কিনা? কিছু রাজনীতিক ইন্ধন দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে সাজিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানোরও চেষ্টা করছে, তাছাড়া ওই জেলা থেকে বেশ কয়েকটি অভিযোগের সমাধানে তাঁকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বলেও এসপিকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুভেন্দুর জেলার পুলিশ সুপারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কড়া কথা বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যবাহী।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল ফোন করেন?’, মমতার কড়া নজরে শুভেন্দুর জেলার পুলিশ সুপার