পৈলান থেকে ফেরার পথে আচমকা রাজ ভবনে মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ঘণ্টা খানেক রাজ ভবনে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুত্রের খবর, নিমতিতা বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা করতেই বৃহস্পতিবার ধনকড় শরণে মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলায় ঘটনায় ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব বিরোধী দলগুলো। ফলে স্পষ্টতই ভোট আবহে খানিকটা বেকায়দায় রাজ্যের শাসক দল। সেই অবস্থান বদলাতে ধনকড়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর। যদিও নবান্ন বনাম রাজ ভবন দ্বন্দ্বের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল এই সাক্ষাৎ অন্য বার্তা বহনকারী। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএসকেএমে জখম মন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিনই অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। আপাতত মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে।
ভোটের মুখে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাংলায়। বুধবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের নিমতিতায়। তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হতে পারে। জখম হয়েছেন মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন অনুগামীও।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন জাকির। তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরার জন্য নিমতিতা স্টেশনে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু নিমতিতা স্টেশনের কাছে নিজের গাড়ি থেকে নামামাত্রই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জাকির হোসেন-সহ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। সকলকে তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, ১০-১২ জনের দুষ্কৃতী দল মুখ ঢেকে এসে বোমাবাজি করে।
এই ঘটনায় পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা সভাপতি আবু তাহের বলেছেন, জাকির হোসেনের প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে বিজেপি-সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিহিংসার রাজনীতি রয়েছে। জেলার একমাত্র মন্ত্রী, তাঁকে চক্রান্ত করে প্রাণে মারার চেষ্টা হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, এর পিছনে শুভেন্দু অধিকারী রয়েছে।
এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বলেছেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। যে বা যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।