কোচবিহারের শীতলকুচিতে চতুর্থ দফার ভোটে বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪। মৃতেরা তৃণমূলের সমর্থক বলে শনিবার সকাল থেকে সুর চড়িয়েছে শাসক দল। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আড়ো ৪। যদিও আত্মরক্ষায় এই গুলি চালনার ঘটনা। এমনটাই দাবি করেছে সিআইএসএফ। এই ঘটনার পরে রবিবার শীতলকুচি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে ট্যুইট করে এই ঘটনার নিন্দা করেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোকসভার সাংসদ সৌগত রায় ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা বলেন, ‘শনিবারই দুপুর ৩টে ১৫ মিনিটের বিমানে উত্তরবঙ্গ রওনা হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকাল ৫টায় শিলিগুড়ির সিন্ডরেলা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা তাঁর।‘ জানা গিয়েছে, রবিবার জলপাইগুড়িতে দু’টি সভা রয়েছে মমতার। তার আগেই শীতলকুচি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে নিহত ৪ ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
তৃণমূলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রবিবার রাজ্য জুড়ে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তাদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও অঞ্চলে কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ দেখাবেন তৃণমূলকর্মীরা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগও দাবি করা হবে শাসক দলের তরফে।
সৌগতর প্রশ্ন, ‘‘কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাল? সাধারণ মানুষকে গুলি করে মারার স্পর্ধা ওরা পেল কী করে? আমাদের প্রশ্ন এটাই। এটা একটা চক্রান্ত। আমাদের মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীও এই চক্রান্তের বাইরে নন। এই ভাবে ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে।’’
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনঘন বঙ্গ সফর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এমনকি, অর্থ ও বাহুবলের সাহায্যে বাংলার ভোট প্রভাবিত করতে চাইছে বিজেপি। এদিন অভিযোগ তোলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিকে বনগাঁ দক্ষিণের সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। গুলি করে মেরে এখন বলছে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে। অমিত শাহের উচিত পদত্যাগ করা।’’
অন্য দিকে, এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। শনিবার শিলিগুড়ির সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘কোচবিহারে যেটা হয়েছে, সেটা খুব খারাপ। মৃতদের পরিবারকে আমার সমবেদনা। বিজেপি-র দিকে সমর্থন দেখে দিদি ও তাঁর গুণ্ডাবাহিনী ঘাবড়ে গিয়েছে। তাই দিদি ও তাঁর গুণ্ডাবাহিনী এ ভাবে হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করছে। আমি কমিশনকে আবেদন জানাচ্ছি, এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’