বিধানসভার টিকিট না পেয়ে ২০১৬ সালে রাগে দল ছেড়েছিলেন। একরাশ ক্ষোভ নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএমে। রাতারাতি প্রার্থীও হয়ে যান। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। সেই রফিকুল ইসলাম ফের তৃণমূলের ঘরে ফিরলেন। এদিন তাঁর ঘরওয়াপসি করালেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সাধন পাণ্ডে। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দুই মন্ত্রীর হাত থেকে তুলে নেন ঘাসফুল পতাকা।
একুশের নির্বাচন এগিয়ে আসতেই করোনা আবহে দলবদলে বিরাম নেই। কয়েক দিন আগে রামনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক এবং গাজোলের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে। এবার সিপিএমের ডাকসাইটে বিধায়ক ফিরলেন তৃণমূলে। এই দলবদলকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আর বিজেপি এই দল ভাঙানোর সংস্কৃতি শুরু করেছে। এতে আসলে রাজনীতি কলুষিত হচ্ছে।" অনেক বাম নেতাই ২০১৬ সালে রফিকুলকে প্রার্থী করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বসিরহাটে রফিকুলের দাপট নিয়ে ওয়াকিবহাল সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে প্রার্থী করে। জিতে সেই আস্থার মর্যাদা রেখেছিলেন রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন মৃত বিজেপি কর্মীর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ আদালতের
কিন্তু এদিন রফিকুল ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মুখ টিপে হাসছেন সেদিনের সেই আপত্তি জানানো বাম নেতারা। অনেকেই বলছেন, এমনটা হওয়ারই ছিল। পিকের টিম স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বাম বিধায়কদের জালে ধরতে নেমেছে। অনেকেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়েছেন। আবার রফিকুলের মতো অনেকে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন। এমনটা মনে হয়ে বঙ্গ রাজনীতিতেই সম্ভব। এদিকে, রফিকুল তৃণমূলে ফেরায় ফের কমল বামেদের বিধায়ক সংখ্যা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন