যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে ঘিরে দিনভর সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির মিছিল রুখতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। কিন্তু জলে বেগুনি রং এবং রাসায়নিক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ একাধিক নেতা এবং বিজেপি কর্মীর গায়ে সেই বেগুনি জল ছেটানো হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, কেমিক্যাল মিশ্রিত সেই জলের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি। একইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের বেগুনি রঙা ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা ব্যঙ্গও করছেন এই নিয়ে। রঙিন জল ছেটানো নিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন এদিন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন লম্ফঝম্ফই সার, পুলিশকে টপকে নবান্নের বক্সেই ঢুকতে পারল না বিজেপি
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মণীশ শুক্লার হত্যার চারদিন পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। মণীশের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ-তেজস্বীরা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, মণীশের হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন সেইসময় এসব থেকে কেন দূরে ছিলেন দিলীপ ঘোষ? তিনি নিজের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আর অন্যদিকে কলকাতার রাজপথে মণীশের দেহ নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন, সেইসময় অনুপস্থিত ছিলেন দিলীপ। কিন্তু সেটা কি খুব জরুরি ছিল? তাতেই মুকুল শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব প্রকট হয়ে যায়। যা খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি হাইকমান্ড। মনে করা হচ্ছে, এদিন কতকটা চাপে পড়েই মণীশ শুক্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ।
নিহত মণীশ শুক্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন দিলীপ ঘোষ
এদিন মণীশের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের দিলীপ বলেন, বেগুনি রং নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে যাব। পুলিশ যেভাবে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে তাতেই বোঝাই যাচ্ছে তারা এই সরকারের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এদিকে, এদিনের মিছিলে লাঠিচার্জ ও কেমিক্যাল মিশ্রিত জল ছেটানোর অভিযোগে রাতে জোড়াসাঁকো থানায় এফআইআর দায়ের করেন তেজস্বী সূর্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন