বাংলার মানুষ স্থানীয়দের ভোট দিয়েছেন। রবিবার ভোট গণনার শেষলগ্নে এমন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। এবার বঙ্গভোটে দিলীপ ঘোষ বিজেপির প্রার্থী না হলেও, একদম প্রথম থেকে ছিলেন ফ্রন্টে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীদের প্রচারের দায়িত্বও তিনি কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।
রবিবার ভোট গণনার দিন বিজেপির ফলের কিছুটা দায় তাই বর্তিয়েছে দলের রাজ্য সভাপতির কাঁধে। এদিকে আবার এবার ভোটে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? অমিত শাহ থেকে জেপি নাড্ডা, দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে এই প্রশ্ন বারবার করা হয়েছিল। দু’জনেই একসুরে জবাব দিয়েছিলেন বাংলার ভূমিপুত্রই হবে বিজেপির তরফে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে কি তাঁদের ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের দিকে?
যদিও শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই এবার বাংলার ভোট লড়েছে বিজেপি। তাই গ্রহণযোগ্য কোনও মুখ না থাকায় কি পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপিকে? এই প্রশ্ন এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষকে করা হয়েছিল। যদিও সেই তত্ব মানতে নারাজ তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ‘কোনও রাজ্যেই বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী থাকে না বিজেপির। তাছাড়া ওদের যে মুখ সে-ই তো মুখ থুবড়ে পড়েছে।‘ অর্থাৎ নন্দীগ্রামের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পরাজয়’কে পরোক্ষে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর।
তবে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে বঙ্গ বিজেপি। এদিন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই ভোটে বাংলার মানুষ খুব সচেতন ভাবে নির্বাচিত করেছে। শাসকের হাতে পুরো ক্ষমতা দিয়েছে, যাতে কাজ ঠিক করে করতে পারে। আর বিরোধীদের বিরধিতার করার জায়গা দিয়েছে। আমরা আগামি দিনে উন্নয়ন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এসবের স্বার্থে আন্দোলন জারি রাখব।‘
পাশাপাশি তিনি জানান, এই ভোটে মানুষ স্থানীয়দের ভোট দিয়েছে। বিজেপির কর্মীরা প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছে এবারের ভোটে। সেই পরিশ্রমের ফল আমরা ৩ জন বিধায়ক থেকে প্রায় ৮০ জন হয়েছি। অনেক জায়গায় নেক টু নেক ফাইট হয়েছে। সেই লড়াইকে আমরা জয়ে পরিণত করতে পারিনি।