সেই দার্জিলিং, সেই পাহাড় আর সেই নজিরবিহীন বিক্ষোভ। মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় ৪ বছর। সেদিন পাশে ছিল বন্ধু বিমল গুরুং, কিন্তু আজ বিজেপি বিমুখ তিনি। চার বছর আগে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঝে একবারও পাহাড়ে যাননি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০১৭ সালের পর মঙ্গলবার ফের দার্জিলিংয়ে গেলেন দিলীপ। উদ্দেশ্য, পাহাড়ে জনসভা ও পরিবর্তন যাত্রার সূচনা। কিন্তু সফরের শুরুই হল কালো পতাকা দেখে।
সেবার যেভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন সেই কথা মাথায় রেখে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু দিলীপের যাত্রার শুরুই হল কালো পতাকা-বিক্ষোভ দেখে। দার্জিলিংয়ে যাওয়ার রাস্তায় মোড়ে মোড়ে কালো পতাকা দেখানো হল তাঁকে। এই ঘটনায় দিলীপ বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সেবার যাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা ছিল, এখন তাঁদের হাতেই কালো পতাকা দেখলাম। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে বিজেপির সঙ্গে, সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে। এখানে পরিবর্তন যাত্রাও বেরোবে। গোলমাল হবে কি না জানি না। হলে হবে। গোটা বাংলাতেই আমার উপরে আক্রমণ হচ্ছে। বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। তাতে ভয় পাওয়ার পাত্র নই আমি।"
এদিন দার্জিলিংয়ে একটি সভা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তারপর বের হয় পরিবর্তন যাত্রা। সেই যাত্রার ট্যাবলোকে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কালো পতাকা দেখানো হয়। যাঁরা কালো পতাকা দেখাচ্ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কর্মী-সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের হাতে মোর্চার পতাকাও ছিল। এবার তাঁরা গুরুংপন্থী না বিনয়পন্থী সেটা জানা যায়নি। তবে গুরুংয়ের সমর্থন না থাকায় পাহাড়ে বিজেপির চাপ রয়েছে। সেটা মানছে স্থানীয় নেতৃত্বও। পাহাড়ে সংগঠন এতদিন দাঁড়িয়েছিল গুরুং এবং মোর্চার শক্তির উপর নির্ভর করেই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।
সেবার রাস্তার উপর মারধর করা হয়েছিল দিলীপের সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতা রাকেশ পোখরেলকে। আক্রান্ত হন দিলীপ ও জয়প্রকাশ মজুমদারও। সে দিন দিলীপ অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘বিনয় তামাংয়ের লোকজনই হামলা করেছে বলে সন্দেহ। কলকাতা থেকে মদত দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।’’ তবে এদিন হামলা না হলেও কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে।