আত্মহত্যা করেছেন দিনহাটার বিজেপি নেতা অমিত সরকার।তাঁর মৃত্যুতে কমিশনে এই রিপোর্ট জমা দিলেন পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ, বহুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকার। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে আর অবসাদে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই হতাশা থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এমনকি, এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের উল্লেখও রয়েছে রিপোর্টে। অর্থাৎ এই ঘটনার পিছনে প্রণয়ঘটিত বিবাদকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
এদিকে, প্রথম দফার ভোটের আগে মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপি। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মিলেছিল আত্মহত্যার ইঙ্গিত। এই ঘটনার তদন্তের পর কমিশনে রিপোর্ট জমা দিলেন বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। অমিত সরকারের স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। অমিতের স্ত্রী তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি।
বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, খুন নয় আত্মহত্যাই করেছেন অমিত সরকার। দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে আরও বাড়ে। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন অমিত সরকার। রাতে বাড়ির অদূরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার পকেটে মিলেছিল একটি সুইসাইড নোট। সেখানে এক মহিলা বিজেপি কর্মীর আচরণ নিয়েও হতাশার কথা ছিল তাতে।
গত বুধবার সকালে দিনহাটার পশু হাসপাতালে উদ্ধার হয়েছিল বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ। ভোটের আগে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে নামে বিজেপি কর্মীরা। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিসের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী।