১০ এপ্রিল অর্থাৎ চতুর্থ দফার ভোট রাজ্যে সবচেয়ে বেশি হিংসাদীর্ণ। পাঁচটি প্রাণ অকালে ঝরে গিয়েছে। তাই শীতলকুচি থেকে শিক্ষা নিয়ে বাকি দফায় রাজ্যে পুলিশ পর্যবেক্ষক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।হিংসা একদম রুখে, ভোটগ্রহণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্রে। পঞ্চম দফার ৪৫টি আসনের ভোটের আগে রাজ্যে আরও ১১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক আসবেন বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হল, তার মধ্যে পুলিশ পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তাতেও হিংসা আটকানো যায়নি। প্রথম দফা থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটলেও কমিশনের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে চতুর্থ দফা। এই দফায় শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য জুড়ে। কমিশন চাইছে বাকি দফাগুলিতে এই ধরনের সমস্যা যাতে মাথাচারা না দেয় তা সুনিশ্চিত করতে।
গত চার দফায় ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে কমিশন। বিশেষ করে শীতলকুচির ঘটনা থেকেই কমিশনের শীর্ষকর্তারা অনুভব করেছে রাজ্য পুলিশ ও আধা সামরিকবাহিনীর সমন্বয়ের জন্য আরও পর্যবেক্ষক প্রয়োজন। সোমবার বারাসাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কমিশন নিযুক্ত দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিবেক দুবে।
সেখানেই CRPF কে আগামী পর্যায়ের ভোটে আরও সতর্ক হতে নির্দেশ দেন দুই পর্যবেক্ষক। সূত্রের খবর, বৈঠকে শীতলকুচির প্রসঙ্গ তুলে আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। পাশাপাশি জানিয়ে দেন আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর পরিস্থিতি হলেও সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস বা এসওপি (SOP)।
এই সময়েই স্থির হয় আরও ২০ জন নতুন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসছেন ১১ জন। রাজ্যে ইতিমধ্যেই পর্যবেক্ষক ছিলেন ৫৫ জন। অর্থাৎ সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে ৬৬ জনে। তাঁদের প্রথমে করোনা পরীক্ষা করা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যের উপদ্রুত ও সংবেদনশীল বুথে পাঠানো হবে। ২০ টি জায়গা থেকে কাজ করবেন এই নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা।