তৃণমূল বহিষ্কার করার ৪৮ ঘণ্টা পরেই কংগ্রেসে 'ঘরওয়াপসি' হল মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন ওরফে মধুর। শুক্রবার বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরির হাত ধরে পুরনো দলে ফিরলেন মুর্শিদাবাদের দাপুটে নেতা। সেইসঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন। মোশারফ কংগ্রেসে ফেরায় জেলা পরিষদ হাতছাড়া হওয়ার মুখে তৃণমূলের।
কানাঘুষো ছিলই, দলবদলে পা বাড়াচ্ছেন জেলা সভাধিপতি। জল্পনা গাঢ় হতেই তড়িঘড়ি মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি তথা নওদার এই নেতা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু শুভেন্দুর হাত ধরে একসময়ে কংগ্রেস ছেড়ে দলবল নিয়ে তৃণমূলে চলে আসেন মোশারফ। এবার ফের পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার তাল করছিলেন। তার আগেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তবে জেলা সভাধিপতি পদ যায়নি। এদিন জেলা পরিষদের সদস্য এবং বেশ কিছু অনুগামীকে নিয়ে হাত শিবিরের পতাকা তুলে নেন মোশারফ।
শুভেন্দু অধিকারীর হতা ধরে তৃণমূলে এসেছিলেন বলে অনেকে মনে করছিলেন, বিজেপিতে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, বাম-কংগ্রেস জোটে শামিল হবেন। সেই কথা রেখে আজ 'ঘরওয়াপসি' করলেন। যোগদানের পর জানান, "আমি কখনও বিজেপিতে যাব বলে ঠিক করিনি। পুরনো দলে ফিরব বলেই সিদ্ধান্ত নিই। এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য।"
যাঁর নির্দেশে বহিষ্কৃত হন মোশারফ, সেই জেলা তৃণমূল সভাপতি সাংসদ আবু তাহের খান এদিন বলেছেন, যিনি এখন আর দলের কেউ নন, তিনি কোথায় গেলেন, কার হাত ধরলেন সেটা তাঁর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা নিয়ে আমি ভাবতে রাজি নই। রাজনীতির মাঠে লড়াই হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে তৃণমূলের সদস্য ছিল ১। মোশারফ ৪২ জন কংগ্রেস সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রাতারাতি গোটা জেলা পরিষদের কংগ্রেস থেকে তৃণমূলীকরণ হয়েছিল। যা নিয়ে কংগ্রেস আজও ক্ষোভ প্রকাশ করে। মোশারফের হুঁশিয়ারি, “তিন মাস অপেক্ষা করুন। কংগ্রেস আবার আগের জায়গায় চলে আসবে। তৃণমূল আবার একে নেমে যাবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন