ষষ্ঠ দফার ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগে সরব রাজ্যের বিদায়ী খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়লে ঘোষপাড়ায় বহিরাগতদের উপস্থিতির অভিযোগ তুলে হাজির হন হাবড়ার তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কয়েকজনকে চিহ্নিত করে একটা বাড়ির দিকে ছুটে যান তিনি। অভিযোগ, সেই বাড়িতেই জমায়েত করেছে বিজেপির বহিরাগতরা। সেই বাড়ি থেকে বুথের দুরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার। তাঁর পিছনে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন খাদ্যমন্ত্রী। ফোন করেন হাবড়া থানার আইসিকে-ও।যদিও যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের দাবি, ‘তৃণমূল বুথ দখলের চেষ্টা করেছে। মিথ্যা কথা বলছেন তৃণমূল প্রার্থী।‘
এদিকে, ঘোষপড়ার পাশাপাশি হাবড়ার নারায়ণপুরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেই খবর পেয়েই বুথে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী। সেখান থেকেই ফোন করেন সেক্টর অফিসারকে। ব্যবস্থা না নিলে পথ অবরোধ এবং ধর্নার হুমকি দেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে আইসি থানার আইসি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। সেই বুথে গিয়ে দেখা গিয়েছে ভোটারদের লম্বা লাইন।
এই আবহেই হাবড়ার পাশের আসন বাদুরিয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এদিন দুপুরে। সেই বিধানসভার জেলে পাড়ার ১৫৩ নম্বর বুথ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটাররা।
অপরদিকে, করোনার প্রবল সংক্রমণের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছে প্রায় ১১ হাজার। এরই মধ্যে চারটি জেলার ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন চলছে। পূর্ব বর্ধমানের ৮টি বিধানসভা, উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি বিধানসভা, উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা, এবং নদিয়ার ৯টি বিধানসভায় নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম দফা থেকে পঞ্চম দফায় অশান্তির আবহ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেই খবর।