Advertisment

'বুদ্ধ'হীন একুশের ব্রিগেড, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে লেখা চিঠির অপেক্ষায় ছাত্র-যুবরা

শনিবার জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেবের বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই তাঁকে সমাবেশে আসতে দিতে রাজি হচ্ছেন না চিকিৎকরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শুধু চিকিৎসকদের হ্যাঁ। আর তারপরেই রবিবারের 'পিপলস ব্রিগেডে' দেখা যেতে পারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সূত্রের খবর, তাঁর অসুস্থতা নিয়ে দোনামনায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁকে বাড়ি থেকে বেরোতে দিলে সেটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? ব্রিগেড সমাবেশের একদিন আগে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন চিকিৎসকরা। তবে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর,  রবিবারের সমাবেশে আসার ষোলো করা ইচ্ছা রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু সাধ থাকলেও, শারীরিক সাধ্যে কুলোবে না। এমনটাই মনে করছে তারা।

Advertisment

যদিও এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ব্রিগেড সমাবেশে আসার অনুমতি দেয়নি  চিকিৎকরা। শনিবার রাজ্য সিপিএম সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। শুক্রবার জানা গিয়েছিল, স্বয়ং বুদ্ধদেবই ব্রিগেডে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটের নেতাদের বক্তব্য ছিল, চিকিৎসকরা সবুজ সঙ্কেত দিলেই তাঁকে ব্রিগেড সমাবেশে নিয়ে আসার বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করবে দল। কিন্তু শনিবার জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেবের বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই তাঁকে সমাবেশে আসতে দিতে রাজি হচ্ছেন না চিকিৎকরা।

মনে করা হচ্ছে, ব্রিগেড সমাবেশে যোগ না দিতে পারলেও ছাত্র-যুবকদের প্রতি লিখিত বার্তা পাঠাবেন বুদ্ধদেব। দলের ছাত্র ও যুবনেতৃত্ব চেয়েছিল, একটি বারের জন্য ব্রিগেডে আসুন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একান্তই অসুস্থতার কারণে তিনি সশরীরে ব্রিগেডে না আসতে পারলে অন্তত ‘ভার্চুয়াল’ উপস্থিতির বন্দোবস্ত করা হোক। কিন্তু মুজফ্ফর আহমেদ ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, অসুস্থতার কারণেই তাঁর ভার্চুয়াল উপস্থিতিও সম্ভব হবে না। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতার কথায়, ‘‘বুদ্ধদা এখনও আমাদের তথা দেশের বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে ‘আইকনিক লিডার’। অবশ্যই তিনি সমাবেশে এলে আমাদের মনোবল বাড়ত। কিন্তু তাঁর লিখিত বার্তাও আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান।’’

এদিকে, বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশের একদিন আগে শনিবার সভাস্থল পরিদর্শন করেন বিমান বসু-সুজন চক্রবর্তী। বিমান বসু সাংবাদিকদের জানান, লক্ষাধিক জমায়েত তাঁরা আশা করছেন। বাম-কংগ্রেস এবং সদ্য জোটসঙ্গী হওয়া আইএসএফ, কিছু সমর্থক এনে মাঠ ভরাবে এমনটাই খবর। অপরদিকে, শনিবার থেকেই শহরে আসা শুরু করেছেন জেলার কর্মী-সভর্থকরা। সমাবেশস্থলের পাশেই অস্থায়ী ছাউনিতে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন লোকাল এবং জোনাল কমিটির তরফে পাঠানো হচ্ছে খাবার প্যাকেটও। হাতে গড়া রুটি, আলুর দম আর মিষ্টি। এই পদ থাকছে প্যাকেটে। এমনটাই আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।

CONGRESS Cpm Buddhadeb Bhattacharya brigade
Advertisment