তিন বছর ধরে ফেরার। পুলিশ হন্যে খুঁজছে তাঁকে। সেই পলাতক বিমল গুরুংই কি না পঞ্চমীর বিকেলে আচমকা হাজির সল্টলেকের গোর্খা ভবনে। পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানো, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিক খুনে অভিযুক্ত বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইউএপিএ আইনের ধারাও রুজু রয়েছে তাঁর নামে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতার এহেন আচমকা কলকাতায় আবির্ভাব ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। দুই মোর্চা নেতার সল্টলেকে গোর্খা ভবনে আসার কথাও শোনা যাচ্ছিল। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ একটি সাদা ল্যান্ডরোভার গাড়িতে চেপে গোর্খা ভবনে হাজির হন তিনি। গাড়িতে তাঁৎ পাশে ছিলেন এক গেরুয়া বসন-রুদ্রাক্ষের মালাধারী সাধু গোছের মানুষ। গাড়ির নম্বর প্লেট ছিল ঝাড়খণ্ডের। কিন্তু এদিন গোর্খা ভবনে পৌঁছলেও গেটে তালা ঝুলছিল। এক পুলিশ কর্মী ভবনের গেট ধরে ঝাঁকান। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। কিন্তু গেট না খোলায় গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য কোথাও চলে যান গুরুং।
প্রশ্ন হল, কী কারণে গোর্খা ভবনে এলেন গুরুং? আর গেলেনই বা কোথায়? তিনি আসবেন সে কথা কি গোর্খা ভবন কর্তৃপক্ষ জানত না? গেটে খোলেনি বলে তিনি চলেও গেলেন। এবছরের মার্চে দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ছেলের বিয়ের আসরে দেখা গিয়েছিল গুরুং এবং গিরিকে। তখনই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুংয়ের যোগসাজশের জল্পনা বাড়ে। কিছুদিন আগে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মোর্চা, রাজ্য সরকারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এবার সরাসরি কলকাতায় গুরুংয়ের আবির্ভাব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে আত্মসমর্পণ করতে চান মোর্চার দাপুটে নেতা? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন