সোমবারের পর বুধবারও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মসূচিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের কাজ এবং জীবনযাপন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের জবাবে এদিন মুখ খুললেন ধনকড়। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দিন কয়েক আগেই রাজ্যপালকে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেকথা সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে সরাতে তাঁরই নির্দেশে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছেন দলের সাংসদরা। তিনি নিজেও প্রধানমন্ত্রীকে ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে চারবার চিঠি লিখেছেন।
এদিন মমতা বলেছেন, ”ঘরে বসে দূরবীন দিয়ে উনি শুধু বাংলায় খুন আর হিংসাই দেখছেন। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে কী হয়েছে দেখেছেন?”, নাম না করে এভাবেই রাজ্যপালকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসে রেড রোডে রাজ্যপালের দিকে উল্টো মুখ করে দাঁড়ানো ঘোড়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেও ঘুরিয়ে কটাক্ষ করলেন ধনকড়কে। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বক্তব্যেই দলের সাংগঠনিক নির্বাচনী সভা হয়ে উঠল জগদীপ ধনকড়কে আক্রমণের অন্যতম মঞ্চ।
আরও পড়ুন ‘ঘোড়ার পাল’, ‘দূরবীনে শুধু বাংলায় খুন, হিংসাই দেখছেন’, মমতার নিশানায় রাজ্যপাল
মমতার আক্রমণের পাল্টা রাজ্যপাল এদিন বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি রোজ রোজ তাজ বেঙ্গল থেকে খাবার আনাই। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তথ্যগত ভাবে ১০০ শতাংশ অসত্য।" উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে রাজ্যপালকে নিশানা করে বলেন, মা ক্যান্টিনের ডিম-ভাতের খরচ কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে রাজ্যপালের প্রশ্নে অসন্তুষ্ট তিনি।
ফাইল আটকে রাখা নিয়ে রাজ্যপালের পাল্টা, "আমার কাছে কোনও ফাইল পড়ে নেই। যদি কোনও ফাইল আটকে থাকে, তার দায় রাজ্যের। কারণ, সেই ফাইলের বিষয়ে প্রশ্ন করেও রাজ্যের কাছ থেকে কোনও জবাব মেলেনি।" এদিন রাজ্যপালকে নাম না করে ঘোড়ার পাল কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে ধনকড়ের প্রতিক্রিয়া, 'আমি স্তম্ভিত'।