দেখতে দেখতে ৯ বারের বিধায়ক হয়ে গেলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার খড়দহে প্রেস্টিজ ফাইটে প্রতিপক্ষকে নক আউট করে দিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা। শুধু জেতেনইনি, রেকর্ড ভোটে জিতেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। ৩ হাজার ৮৩২ ভোট তাঁর জীবনের সর্বাধিক বেশি ব্যবধানে জয়। এমন কৃতিত্বের কথা আত্মজীবনীতে লিখবেন বলে জানালেন মমতার প্রথমদিনের যোদ্ধা।
মঙ্গলবার গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়েছিলেন শোভনদেব। একবারও ব্যবধান কমেনি, বরং রাউন্ডের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে। একটা সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান সিপিএম এবং বিজেপি প্রার্থীর। শেষ পর্যন্ত রেকর্ড প্রায় ৯৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন শোভনদেব। খড়দহে মানুষের সমর্থনের এমন জোয়ার আগে আচঁ করতে পারেননি বলে সাংবাদিক বৈঠকে স্বীকার করেছেন শোভনদেব।
এদিন তিনি বলেছেন, "আমি নিজেও ভাবিনি এত ভোটে জিতব। আমার যা মূল্যায়ন ছিল তার থেকে অনেক বেশি ভোটে জিতেছি। খড়দহবাসীকে অভিনন্দর ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আত্মজীবনী লিখছি আমি। সেখানে খড়দহের কথা লিখব। এটা আমার জীবনের বিরাট প্রাপ্তি। এর আগে রাসবিহারী কেন্দ্রে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলাম।"
মঙ্গলবার জেতার পর ৯ বার বিধায়ক হওয়া হয়ে গেল শোভনদেবের। বারুইপুর থেকে খড়দহ, ভায়া রাসবিহারী এবং ভবানীপুর। যেখানেই দাঁড়িয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। এদিনের জয় তাঁর কাছে খুবই স্পেশ্যাল। খড়দহে গত কয়েক মাস পড়ে থেকেছেন। মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা নয়, ঋণ চেয়েছিলেন। মানুষ দুহাত উজাড় করে ঋণ দিয়েছে। এবার তা শোধ করার পালা।
এই বিরাট জয় খড়দহ বাসীকেই উৎসর্গ করেছেন শোভনদেব। ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন জয়ী প্রার্থী প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেছেন, 'আমি তোমার দাদার মতো'। এখন সামনে লক্ষ্য খড়দহের সামগ্রিক উন্নয়ন। বলেছেন, এখানকার চেয়ারম্যান, সাংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন। সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান করবেন। এখানে জল জমার সমস্যা রয়েছে। তা সমাধানের চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন বিধায়ক না হয়েও অর্থ দফতরের গুরু দায়িত্বে থাকবেন অমিত মিত্র
তাহলে এখন থেকে কি খড়দহেই থাকবেন শোভনদেব? উত্তরে তিনি বলেছেন, "খড়দহ ইতিমধ্যেই আমার দ্বিতীয় বাড়ি হয়েছে। তবে এখানে রোজ থাকব না। মিথ্যা কথা বলব না। কারণ আমার ঘরবাড়ি রয়েছে। তবে নিয়মিত যাতায়াত করব। মানুষকে কথা দিচ্ছি, আমার কাছ থেকে পরিষেবা পাবেন।" তিনি জানিয়েছেন, ভবানীপুরে গিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন