একুশে বাংলা দখলে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি বাংলায় ৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। রাজ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা না করে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে ব্যাটন তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে বিধানসভা নির্বাচনে জোরকদমে প্রচারে নামছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বহিরাগত তত্ত্বই প্রাথমিক ভাবে হাতিয়ার তৃণমূলের, এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
গত ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, বাংলা শাসন করবে বাঙালিই। বহিরাগত গুজরাটের নেতারা বাংলা শাসন করবেন না। সেই সুরেই এবার বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণের নীতি নিয়েছে তৃণমূল। হাতিয়ার বঙ্গ বিজেপির পাঁচ পর্যবেক্ষক। যাঁরা কেউই বাংলার নন। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে এটাই সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। তৃণমূল নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বারবার সরব হয়েছেন, যাঁরা বাংলার লোক নন, বাঙালি সংস্কৃতি-কৃষ্টি সম্পর্কে অবহিত নন, তাঁরাই বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শুভেন্দুগড়ের মুসলিম তৃণমূল নেতা
সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক ৩৯টি জেলার দায়িত্বভারও পাঁচ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কাঁধে তুলে দিয়েছে পদ্মশিবির। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা কটাক্ষ করে বলেছেন, রাজ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা নেই বিজেপির। তাই বাইরে থেকে নেতা ধরে আনছেন। তাঁর মতে, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার গর্ব। বিজেপির কোনও নেতা বা নেত্রী নেই তাঁর সমকক্ষ। এটাই তৃণমূলের বড় হাতিয়ার। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওদের কোনও মুখ নেই। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দেখুন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য, অরবিন্দ মেননরা কেউ বাংলাকে বোঝেন না। তাঁরা শুধুমাত্র বিভাজনের রাজনীতি করতে বাংলায় এসেছে। সেখানে আমরা বাংলার উন্নয়ন ও সংস্কৃতির কথা বলব।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন