কয়েকদিন আগে আচমকা নবান্ন থেকে রাজভবনে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের আবহে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সাক্ষাৎ এবং বৈঠক ঘিরে ব্যাপক জল্পনা ছড়ায়। নবান্নের তরফে বলা হয়েছি, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। তারপরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানা যায়। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে জানান, "আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের মতো রক্তরঞ্জিত নয়, একুশের বিধানসভা নির্বাচন যেন হয় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ।"
এদিন সংবাদমাধ্যমকে ধনকড় আরও বলেছেন, "বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছে তার সম্পূর্ণ ছবি আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে ধরেছি।" প্রসঙ্গত, এদিনই যখন বর্ধমান শহরে রোড শো করে মমতা সরকারের আমলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ তুলছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, সেইসময়ই একই জিনিস নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানালেন রাজ্যপাল। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন ‘তৃণমূল মানেই চাল চোর, কাটমানির সরকার’, তোপ নাড্ডার
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বারবার বিজেপির মুখপাত্রের মতো আচরণ করার অভিযোগ তুলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে ধনকড় জবাব দিয়েছেন, "রাজনীতি নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই। প্রতিটি দল তার নিজের মতো করে তাদের কর্মসূচি করবে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে এটাই হয়। আমি শুধুমাত্র দায়বদ্ধ সংবিধানের প্রতি। তা লঙ্ঘিত হলে আমি আমার কাজ করবই।"