জটিলতা কাটলো। শেষ পর্যন্ত হাওড়া পুরনিগম থেকে বালি পুরসভার পৃথকীকরণ বিলে সম্মতি সাক্ষর করলেন রাজ্যপাল। হাইকোর্টে এই তত্য দিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। ফলে আগামীতে রাজ্যের অন্য়ান্য পুরসভাগুলির সঙ্গে হাওড়া পুরনিগম ও বালি পুরসভাতে ভোটের ক্ষেত্রে আর বাধা রইল না।
কলকাতার সঙ্গে হাওড়া পুরনিগমে ভোট করতে উদ্যোগী ছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাব নবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনেও পেশ করা হয়। এক্ষেত্রের অবশ্য বালি পুসভাকে হাওড়া পুরনিগম থেকে পৃথক করা হয়েছিল। নাগরিক পরিষেবা আরও উন্নত করার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি রাজ্য সরকারের।
হাওড়া থেকে বালি পুরসভার সেই পৃথকীকরণ বিলেই সাক্ষর করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উল্টে আরও তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল ২০২১-য়ে সই না করার কারণ হিসাবে তিনি বলেছিলেন যে, তথ্য বহুবার বিধানসভার কাছ থেকে চেয়েও পাননি তিনি।
এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায়ও সরব ছিলেন রাজ্যপাল। বিস্তারিত জানতে, এ বিষয় আলোচনার জন্য় বেশ কয়েকবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। কিন্তু তারপরও ওই বিলে সাক্ষর না করার বিষয়েই অনড় ছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের পরই হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলে সই করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন