তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। নজরুল মঞ্চে জোড়া-ফুলের সাংগঠনি বৈঠকে আজ উপস্থিত থাকার কথা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকে মমতার উপস্থিতিতেই জয়প্রকাশবাবু তৃণমূলে যোগ দিলেন। দলনেত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি করা হল জয়প্রকাশ মজুমদারকে।
নতুন দলে গিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, 'বাংলার সম্মান বজায় রাখা, বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই আমি তৃণমূলে এলাম। আমাকে যে সম্মান দেওয়া হল তাতে আমি তৃণমূলের কাছে কৃতজ্ঞ।'
সম্প্রতি পদ্ম শিবিরের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর সঙ্গেই বাতিলের খাতায় ফেলা হয় আরও বেশ কয়েকজন পুরনো বিজেপি রাজ্য নেতাদের। সুড় চড়িয়েছিলেন মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুর। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিক্ষুব্ধ নেতৃত্বকে নিয়ে পৃথক বৈঠক ও সাংবাদিক সম্মেলনও করেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেখানে আগাগোড়া ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এরপরই দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।
এরপরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিত মালব্য, রাজ্য নেতা আমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ফোঁস করেন জয়প্রকাশবাবু। নিশানা করেন সুকান্ত মজুমদারকেও। ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সেই থেকেই জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা বাড়ছিল। কিন্তু, গতকাল, সোমবার দলের দুই বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ, রীতেশ তিওয়ারি, 'বিক্ষুব্ধ' বলে পরিচিত সায়ন্তন বসুদের সঙ্গে বৈঠক করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নানা ক্ষোভ বিক্ষোভ সাংসদকে জানান তাঁরা।
এই বৈঠকের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এবার তৃণমূলে যোগদান করলেন জয়প্রকাশবাবু। নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে জোড়া-ফুল পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
মমতা থেকে অভিষেক, প্রায়ই বলেন বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক ও নেতৃত্বের অনেকেই তৃণমূলে যোগদানের জন্য লাইন দিয়ে রয়েছেন। জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোদগানের মাধ্যমে সেই লকগেট-ই কী খুলতে চলেছে? রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা।