তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিদ্রোহী নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এদিনই দুপুরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূলের সদস্যপদ ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাতেই তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক করেন শুভেন্দু-জিতেন্দ্র। কয়েকদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন আসাননসোলের প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। এবার শুভেন্দুর পথে হেঁটেই পদ ছাড়লেন জিতেন্দ্র।
মনে করা হচ্ছে, আগামী শনিবার মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাতেই বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শোনা যাচ্ছে, শুভেন্দুর সঙ্গে সুনীল মণ্ডল ও জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমের অফিসে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর পদ ছাড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বুধবারই কোচবিহারের কর্মিসভার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে ফোন করে তাঁকে মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এদিন সহকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসানসোলের উন্নয়নের স্বার্থে লড়তে হবে। দীর্ঘদিন ধরে পুরনিগমের একাধিক সমস্যা নিয়ে বিরক্ত জিতেন্দ্র। বারবার বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই চেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এবার তৃণমূলেও ছাড়তে চলেছেন তিনি, এমনই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, মমতাকে চিঠি লিখে দল ছাড়লেন শুভেন্দু
সম্প্রতি নিজের দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে চর্চায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে আসানসোল শহরের জন্য় কেন্দ্রীয় অনুমোদন ‘রাজনৈতিক কারণে’ না মেলা নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। জিতেন্দ্রর ক্ষোভ নিরসনে তৎপর হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। কিন্তু আসানসোলের পুর প্রশাসক সাফ জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ছাড়া তিনি আর কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। কথা বলার আশ্বাসও দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু তার আগেই পুরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন