বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সভায় ভিড় নেই। এই চিত্র দেখে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দুষছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যোগী আদিত্যনাথ থেকে জেপি নাড্ডা কিংবা ধর্মেন্দ্র প্রধান থেকে শিবরাজ সিংহ চৌহান, কোনও নেতার সভায় জমায়েত চোখে পড়ার মতোন নয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার শ্রীরামপুরে। সূচি থাকলেও, জমায়েত আশানুরূপ না হওয়ায় বাতিল নাড্ডার সভা। যদিও দলীয় সুত্রে দাবি, দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আটকে যাওয়ায় আসতে পারেননি নাড্ডা। কিন্তু শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে সভার প্রাথমিক জমায়েত সূচি বাতিলের নেপথ্যের কারণ বলে দিয়েছে। এমনটাই খোঁচা বিজেপি-বিরোধী শিবিরের।
সোমবার হাওড়ার বালি কেন্দ্রের পুনরাবৃত্তি যেন শ্রীরামপুরে। সম্প্রতি ভিড় না হওয়ার কারণেই বালিতে বিজেপির রোড শোয়ে সামান্য থেকেই চলে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। প্রথম দফা ভোটের আগে ঝাড়গ্রামে তো সভা না করেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। কারণ সেই একই, ভিড় না হওয়া।
এবার একই কাণ্ড হুগলির শ্রীরামপুরে। সোমবার শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে জেপি নাড্ডার সভা হওয়ার কথা থাকলেও জনসমাগমের ছিঁটেফোঁটাও ছিল না মাঠে। সেই কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয় সভা। ফলে সভাস্থলে উপস্থিত হওয়া মানুষজনও ঘরমুখী হাঁটা লাগান। কিন্তু এরপর মঞ্চে এসে বিজেপি সায়ন্তন বসু ফের ঘোষণা করেন, সভা করবেন জেপি নাড্ডা। কিন্তু সেই সভা কখন হবে, তা নিশ্চিত না হওয়ায় আর সভাস্থলমুখী হয়নি মানুষ।
প্রসঙ্গত, নবান্ন দখলের লক্ষ্যে গোটা দেশ থেকেই 'প্রভাবশালী' নেতাদের এনে বাংলায় সভা-সমাবেশ করাচ্ছে গেরুয়া শিবির। যোগী আদিত্যনাথ থেকে শিবরাজ সিং চৌহানের মতো নেতারাও প্রায় প্রতি সপ্তাহেই পা রাখছেন বাংলায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ভিন রাজ্যের নেতাদের সমাবেশে তেমন চোখে পড়ার মতো ভিড় করাতে পারছে না বিজেপি। যা নিয়ে কটাক্ষও করেছে শাসক দল তৃণমূল।
তবে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার মতো নেতার সভাও ভিড়ের কারণে বাতিল করতে হচ্ছে, বিষয়টি ভোটের মাঝে বিজেপিকে বিড়ম্বনাতেই ফেলছে। তবে, মুখে অবশ্য ভিড় না হওয়ার কথা মানতে চাইছেন না বিজেপি নেতারা। তবে, মাঠের পরিস্থিতি যে আশাব্যঞ্জক নয়, তা আড়ালে স্বীকার করে নিচ্ছেন গেরুয়া নেতারা। দলের একাংশের দাবি, চৈত্রের দাবদাহের কারণেই অনেকে সভা এড়িয়ে চলছে।
যদিও এদিন টালিগঞ্জে দলীয় প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে রোড শো করেন জেপি নাড্ডা। তিনি টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশন এলাকায় উত্তম কুমারের মূর্তিতে মাল্যদানও করেন। ঢাক, ঢোল-তাসা, নাচে, গানে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।