মঙ্গলবার রাতেই অভিমানী শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে বসে বঙ্গ রাজনীতির খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন অভিষেক-পিকে। তৃণমূলের নেতারা বলছেন, বিজেপির মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ফোকাস ঘোরাতে পাল্টা বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর জন্য দলের দরজা এখনও খোলা। তিনি বিজেপিতে এলে উপযুক্ত সম্মান পাবেন। তবে না এলেও বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। রাজনৈতিক মহলের মতে, হাওয়া নিজেদের দিকে ঘোরাতেই এমন মন্তব্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার।
দলের তিন সাংসদ ও ভোট কুশলীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে সমস্যা মিটে গেছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও শুভেন্দু বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে দু’ঘণ্টা ধরে বিস্তারিতভাবে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সৌগতবাবুর দাবি, এ বৈঠকেই মিটে গেছে সমস্ত সমস্যা। আগামী দিনে পুরো বিষয়টি বলবেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন পিকে-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে জট খোলার দাবি তৃণমূলের, মুখে কুলুপ শুভেন্দুর
এই বৈঠকের পর রাজ্য-রাজনীতিতে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী নিজে কোনও মন্তব্য করেননি। চলতি বছর ২৩ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে টানা অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাকেন শুভেন্দু। এভাবেই জনসংযোগে মন দেন তিনি। শুভেন্দুর বৈঠক প্রসঙ্গে কৈলাস বলেছেন, "ভাইপোর (পড়ুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ছিলেন শুভেন্দু। তিনি কারও কাছে মাথা নোয়াবেন বলে আমি মনে করি না। শুভেন্দু এলে দলে প্রাপ্য সম্মান পাবেন। না এলেও সরকার আমরাই গড়ব।"
কৈলাসের সুরে দিলীপও বলেছেন একই কথা। বঙ্গ বিজেপির সভাপতির সাফাই, "আমি আগেই বলেছিলাম উনি শুধু মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। দল ছাড়েননি। উনি বিজেপিতে এলে স্বাগত। দলের দরজা বড় করে খোলা আছে। আর উনি না এলেও বিজেপির ২০০-র বেশি আসনে জিতে সরকার গড়বে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন