কলকাতা পুরভোটকে প্রহসনের নির্বাচন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার একাধিক অভিযোগ নিয়ে প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যান বিরোধী দলনেতা। কমিশনের বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের আরেকটা রূপ আজ দেশের গণতন্ত্র দেখল। তাঁর নাম হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
শুভেন্দু বিজেপির প্রতিনিধি দল নিয়ে এদিন প্রথমে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে রাজ্যপালকে পুরভোটে সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। তারপর সেখান থেকে কমিশনে যান তাঁরা। কমিশন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, "কীভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে হয়, কলকাতা পুলিশকে দলদাস হিসাবে ব্যবহার করে কীভাবে ভোট লুঠ করতে হয়, সেটা এই কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়ে দিলেন।"
একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হারের ফলে ভবানীপুরে ভোটে লড়তে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে কম্পার্টমেন্টাল বলে উল্লেখ করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "আজ বিকেলে মিত্র ইনস্টিটিউশনের বুথে গিয়ে কলকাতার মানুষকে অভিনন্দন না জানিয়ে পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। কমিশনারকে বলেছি, কমিশনের অফিসে আসা আর তৃণমূলের অফিসে যাওয়ারই সমান। গণতন্ত্রে এমনটা চলে না।"
শুভেন্দুর অভিযোগ, তাঁর গায়ে এদিন পুলিশ হাত দিয়েছে। তিনি বলেন, "আমি বিরোধী দলনেতা। বাংলার মানুষ এগুলো দেখছে। স্বাধীনতার পর কোনও বিরোধী দলনেতার গায়ে পুলিশ হাত দেয়নি। আজ সেটাও হল। এর বিহিত হবে। বলে রাখছি, কংগ্রেস সিপিএমের মতো তৃণমূলও একদিন শূন্য হবে বিধানসভায়। বালির বাঁধ দিয়ে পিসি-ভাইপো এটা বেশিদিন চালাতে পারবে না। পতন অনিবার্য।"
কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, "দম থাকলে নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নিবার্চন করুন। সাংবিধানিক বডির মর্যাদা ধুলোয় মিশে গেছে। সেন্ট্রাল এজেন্সিকে দিয়ে সিসিটিভির অডিট করুন। দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে। ছাপ্পা ভোয়, নকল ভোট, সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করা সব প্রমাণ আছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন