পুরভোটের ফল ঘোষণার দিন দলনেত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে যেতেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এদিন জল্পনার অবসান করে মহারাষ্ট্র নিবাসে নয়া পুরবোর্ডের দলনেতা হিসাবে ফিরহাদের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধীরা যে যাই বলুন, ববিতেই আস্থা রয়েছে তাঁর। আর ববিও মমতার আস্থার মর্যাদা রাখতে বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার দলনেত্রী তাঁর উপর আস্থা রাখায় আপ্লুত ফিরহাদ। তিনি কলকাতা পুরসভার নতুন মেয়র হওয়ার পর বলেন, "এই পুরভোট এতদিন চলেছে। আগামী দিনেও চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, যে পথটা দেখিয়ে দিয়েছেন, সেটা অনুসরণ করব। এটাই আমার জীবনের ব্রত এবং আবার উনি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবন দিয়ে তাঁর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব।"
এবারের পুরভোটের আগে ফিরহাদকে প্রার্থী নাও করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু প্রার্থীতালিকা ঘোষণার দিন ববির নাম ঘোষণা করে মমতা তাঁর উপর আস্থা রাখেন। সেই আস্থার মর্যাদা দিয়ে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে বিরাট মার্জিনে জেতেন ফিরহাদ। ফল বেরোলে দেখা যায় ১৪ হাজার ৮৬৭ ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পর মেয়র পদে বসেছিলেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন ফিরহাদকে মেয়র করেই গঠিত কলকাতা পুরসভার নতুন বোর্ড, ‘সুব্রতদাকে মিস করছি’, অকপট মমতা
গত বছর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান করা হয়। ফিরহাদের অপসারণের দাবিতে বিরোধীরা তো বটেই, দলের অন্দরেই ডাক উঠেছিল। কিন্তু মমতার আস্থা ছিল ববিতেই। তাই তাঁকে প্রার্থী করা থেকে শুরু করে ফের মেয়র পদে বসানো সবেতেই দিদির পরিকল্পনা ছিল। এতদিন শোভনের স্থলাভিষিক্ত ছিলেন তিনি। এবার ভোটে জিতে দলনেতা নির্বাচিত হয়ে মেয়রের চেয়ারে বসলেন তিনি। এখন দিদির আস্থার দাম দেওয়ার পালা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন