নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্র হয়েছিল ধর্মতলা। ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে সেই মিছিলে থামাতে লাঠিচার্জ-জলকামান-কাঁদানে গ্যাস, কোনও কিছুই বাদ রাখেনি পুলিশ। তার প্রতিবাদে শুক্রবার বাম নেতৃত্বের ডাকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে রাজ্যে। দিনের শেষে বনধের জেরে সাধারণ মানুষের সমস্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিল সিপিএম। এদিন বিকেলে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, "সাধারণ মানুষের অসুবিধার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। তাও সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়েছেন।"
এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে সিপিএম। সকালের দিকে বনধের প্রভাব সেরকম না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটীদের বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চলাচল। বনধের জেরে মুর্শিদাবাদে আটকানো হয় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা। এন্টালিতে বামেদের মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও নদিয়ায় একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ-অশান্তি হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, লাঠিচার্জ করে। ইট নিক্ষেপকারীদের নিরস্ত করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। আহত হয়েছেন একাধিক আন্দোলনকারী।